টেকনাফ সাব-রেজিষ্টার অফিসে ঘুষ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিকভাবে টাকা আদায়ের প্রতিবাদে কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছে টেকনাফ দলিল লিখক সমিতি। ২৫ এপ্রিল সোম বার টেকনাফ দলিল লিখক সমিতির কোন সদস্য জমি রেজিষ্ট্রি করেনি। এ নিয়ে দু, পক্ষের মধ্যে চলছে চরম রশি টানা টানি। এব্যাপারে টেকনাফ সাবরেজিষ্টার খন্দকার ফজলুল রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ নিউজকে বলেন কলম বিরতির কোন খবর আমি জানিনা, তারা আমার সাথে বসলে সমস্যা কি দেখা হবে। টেকনাফ সাবরেজিষ্টার খন্দকার ফজলুল রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফের জমি রেজিষ্ট্রিতে অতিরিক্ত চাহিদা, জমি ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে কৌশলে অর্থ আদায় ও নিয়মিত এজলাস না করাসহ অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। সপ্তাহে রবিবার-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিস চলাকালিন দিবস হলেও এজলাশে বৃহস্পতিবার ও রোববার তাকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়না ফলে একদিকে সরকার বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অপরদিকে উপকূলীয় দ্বীপ সেন্টমার্টিন,বেড়ীবাঁধ ও রাস্তা বিধ্বস্ত শাহপরীর দ্বীপ সহ উপজেলার দুর-দূড়ান্ত থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা টাকা-পয়সা নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।গোপণ সুত্রে আরো জানাযায় হেবা,দানপত্র,না দাবী নামা,এওয়াজ নামা,বন্টন নামাসহ বিভিন্ন দলিলের উপর নির্ধারিত সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয় অফিসে।দলিল লিখকদের দাবি সরকার আমাদের জনস্বার্থে কাজ করার জন্য লাইসেন্স দিয়েছে কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সাবরেজিষ্টার আমাদের ব্যবহার করে জনগণের পকেট কাটিয়ে নিজের পকেট তাজা করছে। এ ব্যপারে টেকনাফ দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করেন এবং টেকনাফবাসীর স্বার্থ আদায়ে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানান।