টেকনাফ পৌরসভার হেচ্ছার খাল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত যাতায়ত করছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হেচ্ছার খাল নাফনদী হয়ে পৌরসভার অঞ্চলিক সড়কের মধ্যখান দিয়ে উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে ডুকে পড়েছে। জোয়ারের সময় নদীর পানি তা পূর্ণ হয়ে পড়ে। তখন রোহিঙ্গারা অবৈধ মিয়ানমার থেকে নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মিয়ানমার থেকে এরা বাংলাদেশে আসার সময় নিয়ে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবার চালান আটক করেছে। নাইট্যং পাড়ার এক শ্রেণীর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হেচ্ছার খালকে রোহিঙ্গা পারা পারের ঘাট হিসেবে ব্যবহার করছে। ঘাট ওয়ালাগণ সারা দিন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে গাড়ী থেকে নামিয়ে তাদের বাড়িতে জামাই আদরে রাখে। সন্ধ্যা হলে অন্ধকারে টহল দল বিজিবি সাথে আতাত করে মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়। আবার মিয়ানমার থেকে আসার সময় ইয়াবার চালান সহ রোহিঙ্গাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে জামাই আদরে দুধ-কলা দিয়ে আপ্যায়ন করে এবং রাতে কোর্মা-পোলা দিয়ে খাবাই। রাত যাপনের জন্য সু-ব্যবস্থা করে দেয়। এ ভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ হেচ্ছা খাল ঘাট বলবৎ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘাট নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ঘাটের সাথে যারা জড়িত তারা প্রায় নাম করা ইয়াবা ব্যবসায়ী। তারা নিজেরাই স্পটে না গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে। এলাকাবাসির অভিমত বর্তমান প্রেক্ষাপটে হেচ্ছার খালে সৎ, কর্মঠ বিজিবি সদস্য মোতায়ন একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অন্যতায় ইহা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকার সচেতন মহল বিজিবির উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।