স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ডেইলি কক্সবাজার :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল আমিন আবুলকে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৫৬০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (দক্ষিণ) গোয়েন্দা বিভাগ।
১৯ জুলাই ভোর ৬টার দিকে বায়তুল মোকারম কেএফসি সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তবে, ওই দিন আবুলকে ইয়াবাসহ আটক করা হলেও সঠিক সুত্র থেকে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবুলের পরিবারের কেউ এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
অবশেষে ২৭ জুলাই বুধবার সকালে তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ। আবুল টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়ার মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
এ সময় আবুলের আরো দুই সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (দক্ষিণ) অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টীমের এসআই রাকিবুল হক বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করেছে।
মামলার বাদী এসআই রাকিবুল হক জানান, ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থানের খবর পেয়ে বিমেষ টীম অভিযান চালায়। এ সময় ৫৬০০ ইয়াবাসহ আব্দুল আমিন আবুলকে আটক করা হয়। তার আরো দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ) এর/২৫ মামলা রুজু করা হয়।
গত ১৯ জুলাই যুবদল নেতা আবুল ঢাকায় গিয়ে ‘রহস্যজনক’ভাবে নিখোঁজ শিরোনামে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সংবাদ হয়।
এ সময় তাকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ কানে আসলেও সঠিক সুত্র না পাওয়ায় তা প্রকাশ হয়নি।
তবে ওই সময় আবুলের বড় ভাই ফরিদুল আলমের সাথেে যাগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেলিন, গত ১৯ জুলাই আবুল ঢাকায় যান।
সকালে তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে ফোন করে ‘আমি বিপদে আছি, এক লাখ টাকা পাঠাও’ বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর থেকে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, আব্দুল আমিন আবুল যুবদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় প্রণীত টেকনাফের ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’র তালিকায় তার নাম রয়েছে। কৌশলে তিনি ইয়াবা ব্যবসা চালানোর কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। স্থানীয় প্রশাসনও রহস্যজনক কারণে তাকে আটক করেনা। অবশেষে ইয়াবা বিক্রিকালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তিনি ঢাকায় আটক হন।
টেকনাফ উপজেলা যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আব্দুল আমিন আবুল জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও তিনি একজন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এ দিকে , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৬ এর ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের এক স্মারকপত্রের সূত্রে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) প্রণব কুমার নিয়োগী স্বাক্ষরিত গত ২৩ জানুয়ারি একটি বিশেষ একটি প্রতিবেদনে স্থান পাওয়া ৭৬৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় টেকনাফের সদর ইউনিয়নে এ ২১৭ জনের নাম পাওয়া গেছে।
ওই তালিকায় আবদুল আমিন প্রকাশ আবুলের নামও রয়েছে।