বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলা। অথচ এই জেলার বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমান্তের পয়েন্টগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অরক্ষিত হয়ে আছে। এ অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ঢুকছে রোহিঙ্গা ও মাদকদ্রব্য। সীমান্তজুড়ে নেই কোন কাঁটাতারের বেড়া। বিজিবি সদস্যরা মাদক পাচার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
মায়ানমারের নাগরিরা কক্সবাজার জেলার আনাচে-কানাচে পাড়া-মহল্লা, হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, নদী-সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত, শহর-বন্দরসহ সবকিছু নষ্ট ও দখল করে নিয়েছে। ইদানিং মায়ানমারের রোহিঙ্গা জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে প্রাকৃতিক সমপদ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের মূল্যবান সমপদ। গত ৮ ডিসেম্বর মায়ানমারের রোহিঙ্গা জেলেরা বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমা সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ পূর্বে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বানৌজা ধলেশ্বরীর ক্যাপ্টেন হাসান তারেক মন্ডলের নেতৃত্বে সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১২টি ফিশিং ট্রলারসহ ৯২ জন রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২ ব্যাটলিয়ের অধিনায়ক আবু জার আল জাহিদ জানান, মাদক ঠেকাতে অপরাধ বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমানাকে সুরক্ষিত করতে প্রধানমন্ত্রী ৫শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে স’ানীয়দের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।