পর্যটন সীমান্ত শহর টেকনাফ সী-বীচে বখাটে যুবকদের বেপরোয়া মোটর সাইকেলের বিচরণে আতংকিত হয়ে পড়ছে পর্যটকরা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় টেকনাফের মহিষ খালিয়া পাড়া সৈকতে হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটে। ঠিক একই সময়ই এলাকার চিহ্নিত প্রায় ৫০ জন উঠতি বয়সের বখাটে যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে নেমে পড়ে সৈকতে। পর্যটকরা ছোট শিশু মণিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে কিছু সময় নিরিবিলি পরিবেশে বিনোদনে যায়। সৈকতে বখাটে যুবকদের অসহনীয় উৎপাতে শংকিত হয়ে পড়ে পর্যটকরা। মোটর সাইকেল যেন মানুষের মাথার উপর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট শিশু হাত থেকে ছেড়ে দিতে চরম ভয় হয় কখন যেন মোটর সাইকেল দূর্ঘটনা ঘটে।
মটর সাইকেল বর্তমান সময়ের কিছু মানুষের জন্য ব্যাক্তিগত কিংবা শৌখিনতামূলক একটি বাহন হলেও চালক অদক্ষতার কারণে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে তখনি ঘটে বিপত্তি। ২১ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ সী-বীচে নিজ চোখের সামনে ঘটল মটর সাইকেল দুর্ঘটনা। ১৬ এর উর্দ্ধো বয়সী এক কিশোর তার বন্ধুর সাথে মটর সাইকেল রেস দিতে দু’জন খুব বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।এতে চালক মাঈনুদ্দীন,সাথে থাকা বন্ধু দু’জনের কাধেঁ ও মুখের বেশিরভাগ অংশ থেতলে যায়।এতে মৃত্যু কিংবা বড়ধরনের দুর্ঘটনা না হলেও উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সী-বীচে নিরিবিলি পরিবেশে একটু হাটতে আসলে অনেক যুবক মটর সাইকেলকে বিকট আওয়াজ দিয়ে এলোপাতাড়ি চালাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা হতে নিজেদের এড়াতে সবসময় আতংকিত থাকতে হয়। অপর দিকে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক শব্দদূষণ। তাছাড়া বর্তমানে যুবক শ্রেণির অধিকাংশ মটর সাইকেল চালকদের বেপোরোয়া গতিতে ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে চালক, আরোহী, পথযাত্রীসহ আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনাও অনেক। এরকম পরিস্থিতিকে শৃঙ্খলাপূর্ণ করতে সী-বীচে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় দেখা দিয়েছে। অন্যথায় বিমুখ হচ্ছে পর্যটক। অনেকে বলেন মোটর সাইকেলের বেপরোয়া বিচরণ বন্ধ করা না গেলে জমে উঠবেনা টেকনাফ সৈকত।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরাও রুট পারমিট নেই এমন উচ্চ গতি সম্পন্ন বর্ডার পাস কিংবা চোরাই চালানের মাধ্যমে আমদানীকৃত গাড়ী দিয়ে অর্ধশিক্ষিত ১৬ এর উর্দ্ধো বয়সী তরুনদের দিয়ে মাদক দ্রব্য পরিবহন করে থাকে। যখন মটর বাইক দিয়ে মাদক আনায়ন করা হয়, তখন দেখা যায়, তাদের মটর সাইকেলের গতিও থাকে বেপোরোয়া। এছাড়া গ্রামীণ রাস্তাগুলিতে স্কুল-কলেজগামী কিশোর, তার মেয়ে বান্ধবীর কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে বা অনেকসময় দেখা যায় পেছনে মেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরার সময় সখেরবশত বেপোরোয়া গতিতে মটর
সাইকেল চালাতে থাকে। এতেও অনেকসময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে দক্ষতা,সচেতনতা সৃষ্টি করে উঠতি বয়সী তরুণ সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যত রক্ষায় প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল ।