মহেশখালী দ্বীপকে ‘ডিজিটাল মহেশখালী’তে রূপান্তর করতে সহযোগিতা করবে কোরিয়ান টেলিকম এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা শহরে চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস-২০১৬ -এ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর আগে তিনি তার ফেসবুকের ওয়ালে লেখেন, ‘মহেশখালী দ্বীপকে ডিজিটাল মহেশখালীতে রূপান্তর করতে এমওইউ স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। কারোর কোনও পরামর্শ আছে এ বিষয়ে?’
একজন পরামর্শ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় পণ্যের বিপণন, টিকা, স্থানীয় রেডিও (কমিউনিটি রেডিও), প্রবাসীদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়দের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা, সমবায় প্রতিষ্ঠান চালু, স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলার ই-সেবা চালু, অফশোর বোটিং যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা মহেশখালীতে চালুর কথা বলেন।
আরেকজন বলেছেন, মহেশখালীতে প্রযুক্তিগত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন কেন্দ্র ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন করে একটি সুপরিকল্পিত নগর প্রতিষ্ঠা করা যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। যত ধরনের উন্নয়ন প্রচেষ্টাই হোক তা স্থানীয়দের বাদ দিয়ে করলে তেমন একটা সুফল পাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে তিনি এজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুক ওয়ালে কানেক্ট শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় মহেশখালীকে ডিজিটাল দ্বীপ করা গেলে ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ আমাদের অনুসরণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা (সহ) মার্ক জাকারবার্গকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে অংশ নিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সময়-সুযোগ পেলে তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেন বলে পলক আশাবাদী। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ একটি ইমার্জিং দেশ হিসেবে এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া ফেসবুক যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রতি চালু করেছে তার প্রায় সবকিছুই বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে। তিনি বুধবার আবারও ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ সরকারের অাইসিটি বিভাগ, আইওএম এবং কোরিয়ান টেলিকমের মধ্যে ডিজিটাল মহেশখালী গড়তে একটি ত্রিপক্ষী চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বার্সেলোনা থেকে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারাবিশ্বকে এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি সরাসরি দেখান। একইসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই চুক্তির ফলে দ্বীপের নাগরিকরা আধুনিক আইসিটি সুবিধাদি পাবেন।