ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক সংলগ্ন বাগান পাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার উচ্ছেদের আতংকে ভোগছে। এসব পরিবার উচ্ছেদ হয়ে গেলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারী-পুরুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে না। এতে ঐসব পরিবারের সদস্যরা অসহায়ত্বে জীবন-যাপন করছে।
ডুলাহাজারা সাফারী পার্কের সামনে থাকা মাঠে কয়েক শত পরিবারের বসতী ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী উক্ত এলাকা থেকে সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উচ্ছেদ করে সেখান থেকে নিয়ে বাগান পাড়া নামক স্থানে ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ পুনবাসনের জন্য জায়গা বরাদ্ধ দেয়। বরাদ্ধ পাওয়া জায়গার ঐসব মালিকরা ধার কর্জ করে চিরস্থায়ী বসবাসের জন্য সেখানে গড়ে তুলে সেমি পাকা ও দালান বাড়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান। কিন্তু সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ পুনরায় তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্নভাবে তাল বাহনা শুরু করেছে। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাগান পাড়ার পুনবাসিত নারী-পুরুষদের মাঝে নেমে এসেছে ক্ষোভ আর হতাশা। এ প্রসংঙ্গে ডুলাহাজারা মারুফিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্টাতা শিক্ষক মাওলানা আবদু শুক্কুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ প্রকাশ দুদু মিয়ার পুত্র হাসেম, ফয়েজ আহমদের পুত্র বৃদ্ধ আলী আহমদ, বৃদ্ধ আবদু জব্বার, হোছন আলীর পুত্র আলী আহমদ, বৃদ্ধ নুর মোহাম্মদ, ডাঃ আজিজুল হক ও সানা উল্লাহ জানান, আছিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে থেকে উচ্ছেদ করে পুনবাসনের জন্য দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে তাদেরকে তৎকালিন দায়িত্বরত চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল, মেম্বার আবদুর রহিম, সাফারী পার্কে কর্মরত তৎকালিন কর্মকর্তা ডিএফফু ডঃ তপন, আবুল কালাম বাহাদুর, সহ-ফরেস্টার মাজাহারুল ইসলামসহ যৌথ বিবেচনায় বাগান পাড়া নামক খালি জায়গায় স্থান করে দেয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে বরাদ্ধ পাওয়া স্ব-স্ব জায়গায় তারা গড়ে তুলেছে সেমি ও পাকা দালান বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সর্বশেষ সম্প্রতি সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ এসব ঘর উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করে আসছে। এমনকি তাদেরকে শীগ্রই উচ্ছেদ করা হবে বলে এলাকায় প্রকাশ্যে বলিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সংবাদ জেনে তাদের মধ্যে চলছে ক্ষোভ আর হতাশা।