কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় আজ শনিবার তাঁর বাবা-মাকে ডেকে বক্তব্য নিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।
কুমিল্লা সেনানিবাসে তনুদের বাসা থেকে তাঁর বাবা-মাকে সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে কুমিল্লা পুলিশ অফিসার্স মেস ‘সঞ্চিতা’র ফটকে এ ব্যাপারে কথা বলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান। তিনি বলেন, ‘তদন্তের অনেক কাজ রয়েছে। সবগুলো দিক দেখতে হয়। সকাল থেকে আমরা ঘটনাস্থল দেখেছি। সবগুলো বিষয় দেখে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হচ্ছে। আমরা আলোর মুখ দেখাতে চাই। মাত্র শুরু করেছি তদন্ত। তনুর মা-বাবাকে আমাদের দপ্তরে এনেছি। এটা কন্টিনিউয়াস (চলমান) প্রসেস (প্রক্রিয়া)। তাঁদের বারবার জিজ্ঞেস করা হবে। কোনো কিছু বাদ গেল কি না। একেক সময় একেকটা বলবেন, এরপরে আরও কিছু বলবেন। এভাবেই আমাদের কথা বলতে হবে।’
একই স্থানে একই সময়ে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান আবদুল কাহার আকন্দ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করছি। এর বাইরে আর কিছু বলা যাবে না।’
বেলা তিনটার দিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, দুই ভাই নাজমুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন রুবেল, চাচাতো বোন লাইজু জাহানকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসা থেকে সিআইডি কুমিল্লা দপ্তরে নেওয়া হয়।
গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরে কালভার্টের পাশের জঙ্গলে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ গত ১৩ দিনেও এ মামলার কোনো কিনারা করতে পারেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশে নানা কর্মসূচি অব্যাহত আছে।