উত্তরা মোটর্স দেশের বাজারে নিয়ে এলো বাজারের পালসার সিরিজের নতুন মোটরসাইকেল। এটির মডেল পালসার এএস ১৫০।
সোমবার ঢাকা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাজারজাতকরণ শুরু হল নতুন মডেলের এ মোটরসাইকেলের। এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু উপস্থিত ছিলেন।
পালসার এএস-১৫০ এতে রয়েছে টুইন স্পার্ক ৪ ভালব হিটিএস-আই এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন। এতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নাইট্রোক্স মনোসক্স, অধিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদের জন্য সামনে পিছনে প্রশস্ত টিউবলেস টায়ার, সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য ব্রেকিংয়ের জন্য পেটাল ডিক্স ব্রেক, আরামদায়ক স্পোর্টি সিট ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটিতে প্রজেক্টর হেডল্যাম্প রয়েছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘নতুন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল বাজাজ এএস পালসার-১৫০ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেয়ায় আমি আনন্দিত। এ উদ্যোগের জন্য আমি উত্তরা গ্রুপ অব কোম্পানিকে ধন্যবাদ জানাই। নতুন ব্রান্ডের মোটর সাইকেল মার্কেটিং করায় জনগণ সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগতমানের মোটরসাইকেল কেনার সুযোগ পাবেন। এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরদার করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কয়েকটি মোটরসাইকেল সংযোজন ও উৎপাদন শিল্প গড়ে ওঠেছে। জাপানের উন্নত প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য বিশ্বখ্যাত হোন্ডা মটরস কর্পোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিএসইসির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী জানান, উত্তরা গ্রুপ সাভারে প্রায় ১৫০ কোটি ব্যয়ে বাজাজ মোটর সাইকেলের উৎপাদনের কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এর উৎপাদন শুরু হলে, মোটরসাইকেল আমদানি ধীরে ধীরে কমে আসবে। পাশাপাশি আমাদের রপ্তানি পণ্য বৈচিত্রকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
উত্তরা মোটর্সের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে অটোমোবাইল সেক্টরের স্বনামধন্য, ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটর্স লিমিটেড মোটরসাইকেল বিক্রিয় ও বিপণনে এককভাবে প্রায় ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ারের অধিকারী। উত্তরা মোটর্স সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক বিক্রিত বাজা মোটরসাইকেল দীর্ঘ ৪ দশক ধরে সমগ্র দেশব্যাপী মোটরসাইকেল বাজারজাত করে আসছে।
আজ থেকে উত্তরা মোটর্সের সব শোরুমে ও অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পালসার এএস ১৫০ মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে উত্তরা মোটর্স লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডুরান্ড মেহদাদুর রহমান, হেড অব বিজনেস প্ল্যানিং নাইমুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক কাজী ইমদাদ হোসাইন, পরিচালক বিপণন মীর মোহাম্মদ হোসেইনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।