1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
দেশে ‘হাজারও’ মোবাইল অ্যাপস ও গেম তৈরির উদ্যোগ - Daily Cox's Bazar News
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

দেশে ‘হাজারও’ মোবাইল অ্যাপস ও গেম তৈরির উদ্যোগ

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
  • ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

mobile_appsসরকারের তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে দেশেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনস (অ্যাপস) ও মোবাইল ফোনভিত্তিক গেম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ইকোসিস্টেম তৈরি এবং ডেভেলপারদের দক্ষতার উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচি সফল হলে অন্তত ৮ হাজার ৭৫০টি মোবাইল অ্যাপস এবং অসংখ্যক মোবাইল গেমস পাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রেমীরা। একই সঙ্গে দেশ পাবে প্রশিক্ষিত ডেভেলপার।
মোবাইল অ্যাপস ও গেমস তৈরি উপলক্ষে সরকারের আইসিটি বিভাগ ‘ইনসেপশন অব ইকোসিস্টেম অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। এ জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। তবে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। সরকারি উদ্যোগে হওয়ায় এ প্রকল্প ভবিষ্যতে শিল্পের মর্যাদাও পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
প্রসঙ্গত, আইসিটি বিভাগের অন্য একটি কর্মসূচির মাধ্যমে এর আগে ৫০০ মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই উদ্যোগটি সফল হওয়ায় আইসিটি বিভাগ এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দেশের প্রয়োজন মেটানোর পরে আন্তর্জাতিক বাজারেও অ্যাপস ও গেমস নিয়ে প্রবেশ করতে চায় সরকার। যদিও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক আগে থেকেই দেশে তৈরি অ্যাপস, গেমস ও এনিমেশন বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট চিফ আকতার হোসেন জানান, মোবাইল অ্যাপস ও গেমিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা ইকোসিস্টেম (বাস্তুতন্ত্র) তৈরি করতে চাই। যে ইকোসিস্টেমে বাইরে থেকে কাজ আসা এবং বিশ্বমানের অ্যাপস ও গেমস তৈরির জন্য সক্ষমতা তৈরি হবে। এ লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
তিনি জানান, এ প্রকল্পে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক গেম তৈরি করা হবে, যা হবে বিশ্বমানের। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে তা বিশ্ববাজারে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশেই বিপুল সংখ্যক অ্যাপস ও গেমসের চাহিদা রয়েছে। নামকরা সব অ্যাপস্টোর থেকে দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীরা অ্যাপস ডাউনলোডের মাধ্যমে ব্যবহার করেন। এই উদ্যোগের ফলে প্রযুক্তিপ্রেমী দেশের অ্যাপস্টোর থেকেও সেসব ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
আইসিটি বিভাগ বলছে, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দেশে গেমের বাজার তৈরি এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এর ফলে কোম্পানিগুলোকেও প্রমোট করা সম্ভব হবে। দেশের অনেক ভালো কোম্পানি আছে যারা কাজ পাচ্ছে না তাদেরও এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ দেওয়া সম্ভব হবে। যা আগামীতে সার্বিকভাবে জিডিপিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
জানা যায়, এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে ‘ইনসেপশন অব ইকোসিস্টেম অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড গেমিং ইন্ডাস্ট্রি’ প্রকল্প নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কিছু বিষয়ে আইসিটি বিভাগের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশন থেকে। ওইসব চূড়ান্ত করে কমিশন আইসিটি বিভাগকে পাঠাতে বলেছে। সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দেবে। এ ছাড়াও প্রকল্প মূল্যায়নের জন্য দুইবার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

আইসিটি বিভাগ সূত্র জানায়, এই প্রকল্পে ১ হাজার ৭৫০ জনকে অ্যাপস মার্কেটিং ও মনিটর করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২৮ হাজার ইউএক্স (ইউজার এক্সপেরিয়েন্স) ডিজাইনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আরও ২ হাজার ৮০০ জনকে দেওয়া হবে গেম এনিমেটর প্রশিক্ষণ। তৈরি করা হবে ৮ হাজার ৭৫০টি অ্যাপস।

দেশে অব্যাহতভাবে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়তে থাকায় সরকার ভবিষ্যতের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সহ-সভাপতিরেজওয়ানুল হক। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দেশে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ মোবাইলফোন সেট আমদানি হয়েছে। এর ২৩ ভাগ (৬০ লাখ) ছিল স্মার্টফোন। আমাদের ধারণা ২০১৬ সালে মোবাইল ফোন আমদানির সংখ্যা হবে ৩ কোটি।

তিনি জানান, ২০১৩ সালে ২৫ লাখ, ২০১৪ সালে ৪০ লাখ, ২০১৫ সালে ৬০ লাখ স্মার্টফোন দেশে আমদানি হয়েছে। ২০১৬ সালে তা হতে পারে ৯০ লাখ অর্থাৎ মোট ফোনের ৩০ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছর স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হার ৫০ শতাংশ। আমাদের ধারণা, দেশে বর্তমানে সক্রিয় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি (অনেকের একাধিক সিম থাকায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি)। এর মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ (দেড় কোটির কিছু বেশি) স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আগামীতে স্মার্টফোনকে আরও স্মার্ট করতে এসব অ্যাপস ও গেমস আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন হবে। তিনি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications