১৭ এপ্রিল জেলার বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক আজকের কক্সবাজারে “জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ” শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদনটি ভুলবশতঃ ছাপানো হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এমন ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
পাশাপাশি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীগণের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, জন্মদিন সংক্রান্ত ওই সংবাদটি ছিলো গত ১৭ মার্চের। সেদিন আমরা গুরুত্বসহকারে জাতির জনকের জন্মদিনের সংবাদটি ছাপিয়েছিলাম। এরিমধ্যে ঠিক এক মাসের ব্যবধানে ১৭ এপ্রিল আসে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস।
মূলতঃ মুজিব নগর দিবসের সংবাদটি আমরা বিশেষ ক্রোড়পত্র আকারে ছাপাতে গিয়ে ভুলক্রমে ১৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের খবরটি দ্বিতীয়বার ছাপানো হয়েছে। অনাকাঙ্খিত এমন ভুলের জন্য আমরা মর্মাহত। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। যা আরও দুঃখজনক। অথচ, সৃষ্টির পর থেকে “দৈনিক আজকের কক্সবাজার” পত্রিকা উন্নয়ন সাংবাদিকতা করে আসছে। পত্রিকাটি কখনো হলুদ কিংবা অপ-সাংবাদিকতাকে পশ্রয় দেয়নি। পাশাপাশি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে চলমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিশাল উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে আসছে এই সংবাদপত্র। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ভুলটি অনেক বড়, এটি অস্বীকার করারমতো মানসিকতা আমাদের কারোরই নেই। তারপরও মানুষ মাত্রই ভুল। অনেক সময় মেনে নিতে কষ্ট হলেও মানুষের করা কিছু কিছু ভুল মানুষকেই মার্জনা করতে হয়। তাই পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, হকার, এজেন্ট ও শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদিও এমন ভুল খুবই দুঃখজনক। এতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিশেষ করে হাজার বছরের শ্রেষ্ট্র বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে হয়, গত ৪টি বছর ধরে আমরা তাঁরই আদর্শে অনুপ্রানিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আসছে। তাই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করা অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। মুজিবুর রহমান এ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। কিন্তু তিনি একজন রাজনীতিক হিসেবে সবসময় সাংগঠনিক ও সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত থাকেন। যার কারনে বিশ্বাসের গভীরতল থেকে আস্থাভাজন নির্বাহী সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি পত্রিকাটির চালিকা শক্তি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলেও নির্বাহী ও বার্তা বিভাগে হস্তক্ষেপ রাখেননা। তবে সংবাদ সম্পাদনার পুরো দায়িত্ব বার্তা প্রধান বা নির্বাহী সম্পাদকের।
প্রকাশিত সংবাদটিতে অনিচ্ছাকৃত ভুলে সম্পাদকের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই সম্পাদক মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আদর্শ এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে যেসব বিতর্কিত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তা হয়তো সবার অজানায় ভুল।