দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরি0ষদ নির্বাচনে ৬৪৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৮টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এ ধাপে ১০জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচত হতে যাচ্ছেন। যাদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, এ ধাপের ৬৪৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬৪৪টির তথ্য কমিশনের হাতে পৌঁছেছে। ফেনীর ৩টি ইউপির মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় একদিন বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে সেগুলোর তথ্য এখনো পায়নি কমিশন। ৬৪৪টি ইউপিতে মোট চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ৩ হাজার ১০৮ জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৫০৫ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ হাজার ৫৫৩ জন।
১৫ দলের সাড়ে পনেরো শত প্রার্থী লড়াই করবেন দ্বিতীয় ধাপে
রাজনৈতিক প্রার্থীর মধ্যে ৬৪৪টি ইউপিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন ৬৪৫ জন। এ দলের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন ইউপিতে ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী রয়েছেন ৫৮৭ জন। বিএনপিরও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া, জাতীয় পার্টি (এ) ১৭৫ জন, জাসদ (ইনু) ২৫ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬ জন, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদে ৯৩ জন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ৫জন, এনপিপি ২ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ২ জন, বিকল্প ধারা ১ জন, সিপিবি ৫ জন, ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ২ জন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ১ জন, ন্যাপ ১ জন ও জাকের পার্টির ৬ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আগ্রহ দেখালেও প্রার্থী দেয়নি ৯ দল
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নিবন্ধিত ২৪টি দল প্রার্থী দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও এর মধ্যে ৯টি দল কোথাও কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। দলগুলো হচ্ছে—বিএনএফ, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, ওলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (রব) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ১০ ইউপিতে
দ্বিতীয় ধাপে ৬৪৪টি ইউপির মধ্যে ১০টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন। এগুলো হলো— কিশোরগঞ্জ বাজিপুরের দিঘিরপাড়, গোপালগঞ্জ সদরের বউলতলী, দুর্গাপুর ও কাঠী, জয়পুরহাট সদরের ধলাহাট, দোগাছি ও জামালপুর, ভোলা সদরের কাঠিয়া এবং মাদারিপুর সদরের ঝাউদি। দ্বিতীয় কোনও প্রার্থী না থাকায় এসব ইউপির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচতে হচ্ছেন।
এর আগে প্রথম ধাপে প্রায় সাড়ে সাতশ ইউপির মধ্যে ৬০টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী নেই ৫৮ ইউপিতে
প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও বিএনপি বেশ কিছু ইউপিতে প্রার্থী দিতে পারেনি। এ দফায় ৫৮টি ইউপিতে বিএনপির কোনও প্রার্থী নেই। দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে সরকারি দলের বাধা ও স্থানীয় প্রশাসনের ভয়ভীতির কারণে তাদের মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছেন না।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মূলত গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার বেশিরভাগ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই। যেসব ইউপিতে বিএনপির কোনও প্রার্থী নেই, সেগুলো হলো—গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, রামজীবন, গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী, বান্দাবাড়ী, হিরন, কলাবাড়ি, কুশলা, পিঞ্জুরি, রাধাগঞ্জ, রামশীল, সাদুল্যাপুর, শোয়াগ্রাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া, গোবরা, পোপীনাথপুর, জালালাবাদ, কাজুলিয়া, করপাড়া, লতিফপুর, মাঝিগাতী, সাতপাড়, সুকতাইল, উরফি, নিজড়া, পাইককান্দি, রঘুনাথপুর, সাহাপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৫ নং দুর্গাপুর, জামালপুর সদরের বাঁশচড়া, জয়পুরহাট সদরের পরানপৈল, ঠাকুরগাও রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়, নেকমরদ, দিনাজপুর ফুলবাড়ীর আদলীপুর, বিরামপুরের দিওড়, খানপুর, পলিপ্রয়াগপুর, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর, ছিলারচর, ধলাইল, কালিকাপুর, শিলখাড়া, দুধখালী, কেন্দুয়া, মুস্তফাপুর, মুঞ্জীগঞ্জের সিরাজদীখানের চিত্রকোর্ট, রাজনগর, রংপুরের পীরগঞ্জের শ্যানেরহাট, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের তেলিখালী ও ইসাকমল।