ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ৭১০টিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ মার্চ। বাছাই হবে ৫ ও ৬ মার্চ। আপিল দাখিল ৭ ও ৯ মার্চ, আপিল নিষ্পত্তি ১০ ও ১২ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ, প্রতীক বরাদ্দ ১৪ মার্চ এবং ভোটগ্রহণ হবে ৩১ মার্চ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তফসিল চূড়ান্ত করেছে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ তফসিল প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রথম দফার বিস্তারিত তফসিল প্রকাশ করে। সে অনুসারে প্রথম দফায় মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি, আপিল দাখিল ২৫ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ মার্চ, প্রতীক বরাদ্দ ৩ মার্চ এবং ভোটগ্রহণ ২২ মার্চ। নির্বাচন কমিশন আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ৭১১টি, ৭ মে চতুর্থ ধাপে ৭২৮টি, ২৮ মে পঞ্চম ধাপে ৭১৪টি এবং সর্বশেষ ধাপে ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ধাপের বিস্তারিত তফসিল পরে জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনে গতকাল পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, নমুনা স্বাক্ষর ও পদবি জানিয়েছে ১১টি দল। দলগুলো হলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), এলডিপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জেএসডি, তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী ফ্রন্ট। বিএনপি গতকাল পর্যন্ত এ তথ্য জানায়নি। ইসি আজ ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ তথ্য জানাতে নিবন্ধকৃত ৪০টি দলকে চিঠি দেয়।
নির্বাচন স্থগিত করতে আবেদনের হিড়িক : প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমানা জটিলতার অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন জমা পড়ছে। একই সঙ্গে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভোটার স্থানান্তরের অভিযোগও আসছে। কিন্তু এসব দাবি, অভিযোগকে পাত্তা না দিয়ে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহ নেওয়াজ বলেন, গত নির্বাচনে যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, এবারও তারাই থাকবে। পুলিশ, আনসার, র্যাবের সঙ্গে বিজিবি থাকবে; কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কারা থাকবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ৫ নম্বর কাজলা ইউপির ভোট স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন চেয়ারম্যান এ এস এম রফিকুল ইসলাম। বরিশাল ও ভোলার দুজনসহ বেশ কয়েকজন বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচন স্থগিতের আবেদন জানিয়েছেন। শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সদর ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাসানুজ্জামান রিয়াদ এক আবেদনে জানিয়েছেন, নালিতাবাড়ি পৌরসভার দুই ব্যক্তি তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী হতে তাঁদের ভোটার স্থানান্তরের পাঁয়তারা করছেন। একজন এক ইউপির ভোটার হয়ে অন্য ইউপিতে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন—এমন অভিযোগও জমা হয়েছে।
এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপির সীমানা পুনর্বিন্যাস করেছে। ইসির কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে লাভ নেই। সব কিছু ঠিকমতো পেয়ে আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। এখন আর কিছু করার নেই।’ তফসিল ঘোষিত এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও ওয়ার্ডের ভোটার হতে হবে। এখন আর এলাকা পরিবর্তন করে স্থানান্তরের সুযোগ নেই।