বন্যার ক্ষতি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নদী ড্রেজিং করে পানি ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে বন্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ রবিবার ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৬’ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বন্যাদুর্গত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
দলের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি নির্দেশ রয়েছে অন্তত তিনটি (বনজ, ভেষজ ও ফলজ) করে গাছ লাগাতে। আশা করি দেশের সব মানুষই বৃক্ষরোপণের দিকে দৃষ্টি দেবেন।
পরিবেশ রক্ষায় সকলের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে আজকে বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বৃক্ষ নিধন ও পাহাড় কাটা বন্ধ করা, জলাভূমি ভরাট না করা, নদীর নাব্যতা যাতে না কমে সে ব্যবস্থা নেওয়া, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নৌযান থেকে নদীতে তেল পড়েও ব্যাপক দূষণ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বলে মনে করি।
শেখ হাসিনা জানান, দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বনায়ন সৃষ্টি করা, বিশেষ করে সমুদ্র উপকুল ও নদীর মোহনাগুলোয় কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নারকেল বাগান তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র অথবা শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানেই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানেই শিল্প হবে সেখানেই জলাধার থাকতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব ভালভাবে নিরুপণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণের পর বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন।