নবগঠিত কমিটিতে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বুধবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
গোলাম রাব্বানী বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধেরচেতনা বিরোধী, বিবাহিত, অছাত্র, মামলার আসামীসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ১৭জনের নাম আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের তথ্য প্রমান সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পদ শূন্য ঘোষণা করে বঞ্চিতদের স্থান করে দিব।
এ সময় ১৭জনের নাম তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক। তারা হলেন, সহ-সভাপতি তানজিল ভুইয়া তানভীর, সুরঞ্জন ঘোষ, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হাওলাদার, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, মাহমুদুল হাসান তুষার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তৌফিকুল হাসান সাগর, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, মুনমুন নাহার বৈশাখী, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, উপ সম্পাদক রুশি চৌধুরী, আফরিন লাবনী।
বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা স্পষ্টবলতে চাইসারা দেশে সবার প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে, প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে গণতান্ত্রিক। যারা সংগঠনে বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদেরকে যেমন বহিষ্কার করা হবে, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হবে।
বিলম্বে কমিটি দেয়ার পরেও কেন এত অভিযোগ জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সদ্য সাবেকদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি বলেই এমন হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের সাথে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, বান্ধবী থাকতে পারবে না এমনটি ছাত্রলীগের কোথাও নেই। পদ চলে গেলে জানতে পারবেন সে কে!
সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২৪ বার রক্ত দিয়েছি। মাদকাসক্ত হলে রক্ত দিতে পারতাম না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে।