আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ার। ককাস বা প্রাইমারি নির্বাচনের জন্য এ অঙ্গরাজ্যের সর্বত্রই এখন সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যে আইওয়া থেকে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এসে পৌঁছেছেন নিউ হ্যাম্পশয়ারে। গত সোমবার আইওয়াতে ডেমোক্র্যাটদের ককাসে সামান্য ব্যবধানে হলেও জিতেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন রিপাবলিকানদের মধ্যে জিতেছেন সিনেটর টেড ক্রুজ।
নিউ হ্যাম্পশায়ারকে দেখা হচ্ছে একেবারেই একটি ভিন্ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এই অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা অপেক্ষাকৃত উদার। ফলে ৯ ফেব্রুয়ারি এখানে অনুষ্ঠেয় ভোটাভুটিতে টেড ক্রুজের জন্য কঠিন পরীক্ষা হতে পারে। ট্রাম্প এখানে ভালো করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কো রুবিওরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে ডেমোক্র্যাটদের ভেতরে বার্নি স্যান্ডার্সের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাড়ির কাছে হওয়ার সুবিধা পাবেন তিনি। কারণ, তিনি যে ভারমন্টের সিনেটর, তার কাছেই অবস্থান নিউ হ্যাম্পশায়ারের।
বিভিন্ন মতামত জরিপে হিলারি অনেক এগিয়ে থাকলেও আইওয়াতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের চেয়ে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। আর জরিপে পিছিয়ে থাকলেও টেড ক্রুজ রিপাবলিকানদের মধ্যে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে গেছেন। পাশাপাশি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছেন মার্কো রুবিও, যিনি রিপাবলিকানদের মধ্যে ‘ভদ্র বিকল্প’ হিসেবে পরিচিত। গত মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাও শহরে পৌঁছানোর পর সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন বার্নি। হিলারি ক্লিনটনও নিউ হ্যাম্পশায়ারে পৌঁছে প্রচারণায় মন দিয়েছেন।
অবশ্য, হিলারি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ৭৪ বছর বয়সী স্যান্ডার্স ‘রাজনৈতিক বিপ্লব’ ঘোষণা দিয়ে বামপন্থী আমেরিকান তরুণদের টানতে সক্ষম হয়েছেন। ভোটের অনুপাত বলছে, ৩০ বছরের কম বয়সী ডেমোক্র্যাটদের ৮৫ শতাংশই স্যান্ডার্সকে ভোট দিয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটযুদ্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এ ভোটাভুটি চলবে আগামী জুন পর্যন্ত। এরপর জুলাই মাসে দুই দলের পৃথক সম্মেলন হবে। এ সম্মলন থেকেই চূড়ান্তভাবে ঘোষণা আসবে দু’দলের কোন কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।