কক্সবাজার রিপোর্ট :
ইউপি নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কদর বেড়েছে প্রভাবশালীদের। যার ফলে সুষ্ট নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্টিত হবে ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
ইউপি নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর চাপের মুখে রয়েছে বলে জানান অভিযোগকারীরা।
মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তফা কামাল জানান, হোয়ানকে স্ন্দুর পরিবেশ বিরাজ করছে। সুষ্ট নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চাই। এখানে বৈরী কোন পরিবেশ নেই। তবে কয়েকটি কন্দ্রে পেশী শক্তির প্রভাব রয়েছে।
৪ নং ওয়ার্ডের ভোটার শান্তি লাল নন্দী জানিয়েছেন, প্রশাসন তৎপর থাকায় হোয়ানকে আইন শৃংখলা বিঘœ ঘটে এমন কিছু হচ্ছে না। সবকিছু শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি অলি আহমদ বাবুল জানিয়েছেন, আমরা আওয়ামী পরিবার হলেও গত ইউপি নির্বাচন থেকে অদ্যবদি ভোট দিতে পারিনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আমরা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হব। এ ছাড়াও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চাই।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এখলাচুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যাতে মানুষ নির্বিঘেœ ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারে। সুষ্ট নির্বাচন হলে তিনি জয়ী হবেন বলে দাবী করেন।
কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের ৬ নং ওয়ার্ডের ইসকান্দর জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফিরোজ খান বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছে। বিগত সময়ে যেভাবে জোরপূর্বক ভোট নিয়েছে একই কায়দায় এবারও ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোট নিতে চায়। আমরা চাই প্রভাবমুক্ত নির্বাচন।
কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং এর মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, এই ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত প্রার্থী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা এই এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও অপর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুণর রশিদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী দুইজনই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আমরা চাই পেশী শক্তিমুক্ত নির্বাচন।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃংখলা বিঘœ সৃষ্টিকারীদের দমনে কঠোর থাকবে প্রশাসন। সুষ্ট নির্বাচনের জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এতে সকলের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।