বার্তা পরিবেশক :
পরকিয়া সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছে কক্সবাজার কলেজের ছাত্রী সদ্য বিবাহিত হাসিনা আক্তার। গতকাল ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় কলাতলীস্থ অভিজাত এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন হাসিনার স্বামী ইয়াসিন আরফাতের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসিনা আক্তারের স্বামী ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইয়াছিন আরফাত দাবি করে বলেন, বিবাহের পর থেকে তাঁর স্ত্রী হাসিনা আক্তার প্রায় সময় মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক লোকের সাথে কথা বলতো। আমি তাকে বাধা দিলে উল্টো আমার উপর ক্ষেপে যেত সে। এরপরও নববধূ হিসেবে আমি সব কিছু সহ্য করেছি।
ইতিমধ্যে তার পরকিয়ার ঘটনাটি আমার পরিবারসহ প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় সে চরম অপমানবোধ করে বাড়ির কাউকে না বলে গত ২৯ মার্চ নিজ রুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে আমি পরে জানতে পারি, অপর এক ছেলের সাথে হাসিনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুই জনের মধ্যে বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। তবে আমার বাবা একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক মেম্বার ও বর্তমানে সমাজের সরদার। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে হাসিনার পরিবার তাকে জোর করে আমার সাথে বিবাহ দেয়। বিবাহের পর থেকে মেয়ে একাধিক বার পালিয়ে যেতেও চেষ্টা করেছে। তাদের মেয়ে আমার সাথে ঘর করবে না বুঝতে পেরে মেয়ের স্বর্ণঅলংকার নিয়েও যায়। এর পরেও আমি কিছু বলেনি। এদিকে আত্মহত্যার পর পরকিয়ার বিষয়টি চাপা দিতে তার পরিবার কৌশলে হাসিনার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে যায়। ওই মোবাইলে কলরেকর্ড তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
ইতিমধ্যে আমার পরিবারে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। একই সাথে গণমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তমূলক সংবাদ ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার এই সংবাদে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। সংবাদ সম্মলনে আরফাতের বাবা সাবেক মেম্বার মোস্তাক আহম্মদ ও মা হুসনে আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।