বিদ্যমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাজারো অনিয়ম আর শর্ত ভঙ্গের সুরাহা না করে আরও ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় হবে দুটি। বাকি চারটি হবে চট্টগ্রাম, খুলনা, কুষ্টিয়া ও মানিকগঞ্জে।
এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১টি।
ঢাকায় নতুন করে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না দিতে শিক্ষাবিদদের অনুরোধ উপেক্ষা করে, সরকারের নীতি ভেঙে এ অনুমোদন দেয়া হলো। সরকারের নীতি ছিল, যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে অনুমোদন দেয়া। কিন্তু মানিকগঞ্জ ছাড়া সবখানেই সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হেলালউদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কয়েকদিন আগেই।
জানা গেছে, অনুমোদন পাওয়া ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে আছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অনুমোদন পেয়েছে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স’ ও ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’। প্রথমটির উদ্যোক্তা জামিল হাবিব নামের এক ব্যক্তি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে বাড্ডার প্রগতি সরণিতে। দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা চৌধুরী নাসির সরাফত। এর ক্যাম্পাস হবে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন জহিরুল ইসলাম ‘রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন। এটার ক্যাম্পাস হবে কুষ্টিয়াতে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডে আছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তার স্ত্রী।
মানিকগঞ্জে অনুমোদন পেয়েছে ‘এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’। এর উদ্যোক্তা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না ও মুহাম্মদ শামসুর রহমান।
চট্টগ্রামে অনুমোদন পেয়েছে ‘ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, চিটাগাং’। এর উদ্যোক্তা মুহাম্মদ ওসমান।
এ ছাড়া খুলনায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাসটিই এখন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। বর্তমান নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকেরাই এর উদ্যোক্তা।