সামনে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে দলের অধিনায়ক আর অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে কী এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল নেপাল। তবে চমকে দিয়ে শেষ আটে উঠে আসা দলটি এই ভেবে স্বস্তি পেতে পারে, আইসিসি সবুজ সংকেত দিয়েছে। রাজু রিজলকে খেলানো নিয়ে কোনো সংশয়ে ভুগতে হচ্ছে না নেপালকে।
বিতর্কের শুরু ফেসবুকের একটি পোস্ট দিয়ে। মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলা ক্রিকেটার কৌস্তুভ পাওয়ার অভিযোগ করেন, রিজল নিজের নাম আর বয়স দুটিই গোপন করে এই বিশ্বকাপে নেপালের হয়ে খেলেছেন। কারণ এই রিজল নাকি এক সময় মুম্বাইয়ের বয়সভিত্তিক দলে তাঁর সঙ্গে খেলেছেন। সেই অনুযায়ী রিজলের বয়স হওয়ার কথা ২৫ বছর। তবে কি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপালকে স্মরণীয় এক জয় এনে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে দলকে তুলতে বড় ভূমিকা রাখা রিজল প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন?
বিষয়টি নিয়ে রিজল কিংবা নেপালের পরিষ্কার বক্তব্য না পাওয়া যাওয়ায় বিভ্রান্তি বাড়ে। তবে বয়সের প্রমাণ হিসেবে যেসব দলিল দেওয়া হয়েছে নেপালের পক্ষ থেকে, তাতে আইসিসি সন্তুষ্ট। এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ‘নেপালের ক্রিকেট সংস্থার (সিএএন) প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে আইসিসি কথা বলেছে। কথা বলেছে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও নেপালের টিম ম্যানেজারের সঙ্গে। সিএএন যেসব কাগজপত্র এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জমা দিয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করেছে। এই কাগজপত্রের মধ্যে আছে ওই খেলোয়াড়টির পাসপোর্ট এবং নেপাল সরকারের সত্যায়িত জন্ম সনদ, একই সঙ্গে আছে বয়সের হলফনামা।’
সেই সনদ অনুযায়ী রিজলের অফিশিয়াল জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। আইসিসি জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে কিংবা এর পরে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন। এখন পর্যন্ত আইসিসির কাছে এমন কোনো প্রমাণও নেই যে নেপাল সরকার বা কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা জন্ম সনদ, পাসপোর্ট যথাযথ নয়। এ ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য না আসা পর্যন্ত বিষয়টিকে আইসিসি বলছে ‘ক্লোজড’।
পাওয়ার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, ২০০০ সালে মুম্বাইয়ের অনূর্ধ্ব ১৫ বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে রাজু রিজলের অধিনায়কত্বে তিনি খেলেছেন। সে অনুযায়ী তাঁর বয়স ২৫-২৬ বছর হওয়ার কথা। পাওয়ার এও দাবি করেন, সে সময় রাজু রিজল ‘রাজ শর্মা’ নামে খেলতেন।