1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
পত্রিকার প্রকাশনা সর্বোচ্চ ৩০ দিন বন্ধ রাখার সুপারিশ! - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

পত্রিকার প্রকাশনা সর্বোচ্চ ৩০ দিন বন্ধ রাখার সুপারিশ!

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ মে, ২০১৬
  • ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

b012d47dfcc4299ffc570f8f72b5aead-24প্রেস কাউন্সিলের আদেশ না মানলে শাস্তি হিসেবে কোনো সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার প্রকাশনা সর্বোচ্চ ৩০ দিন বন্ধ রাখার আদেশ দিতে পারবে কাউন্সিল। এ রকম একটি ধারা এনে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে আইন কমিশন।
সংবাদপত্রশিল্পের নৈতিক চর্চা তদারক করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। এটির বর্তমান আইনের ১২ ধারায় নৈতিক বিচ্যুতির কারণে কোনো সংবাদপত্র, সম্পাদক, সাংবাদিক ও সংবাদ সংস্থাকে সতর্ক, ভৎ৴সনা ও তিরস্কার করতে পারে কাউন্সিল। প্রচলিত আইনে এমনকি সংবাদপত্রকে জরিমানা করারও এখতিয়ার নেই।
সাংবাদিক নেতারা আইন কমিশনের এ রকম পরামর্শের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
প্রেস কাউন্সিলের প্রচলিত আইন সংশোধনের একটি খসড়া তৈরি করেছে কাউন্সিল নিজেই। আর সেটির ওপর মতামত দিতে গিয়ে প্রকাশনা বন্ধের এখতিয়ার তৈরির পরামর্শ দিয়েছে আইন কমিশন। মতামত ও সুপারিশে স্বাক্ষর করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ আলম ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর।
তবে ৩০ দিন পর্যন্ত সংবাদপত্র বা সংবাদ সংস্থা বন্ধের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতাভোগের পক্ষপাতী নয় প্রেস কাউন্সিল। কাউন্সিলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তাঁরা পুরো বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করবেন।
জানতে চাইলে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মতামত ও সুপারিশটি তাঁরা সবাই মিলে করেছেন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু বোঝার বা জানার থাকলে তিনি কমিশনের তথ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আইন সংশোধন করে সংবাদপত্র বা সংবাদ সংস্থা বন্ধ রাখার ক্ষমতা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা কোনো সুপারিশ করেননি। আইন কমিশনের সুপারিশ কাউন্সিলের হাতে এসেছে। এটি নিয়ে কাউন্সিল বৈঠকে বসে আইন সংশোধনের বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, আমাদের অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে কমিশন একমত পোষণ করেনি।’
কমিশনের সুপারিশে নতুন ধারা ১২(ক) (প্রকাশিত বিবরণ সংশোধন ও ক্ষমাপ্রার্থনার নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা) যুক্ত করে ১২ ধারার পাশাপাশি কাউন্সিলকে সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, সম্পাদক বা সাংবাদিককে প্রকাশিত বিবরণ সংশোধন ও অভিযোগকারীর কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিতে পারার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ১২(খ) (জরিমানা ও সংবাদপত্র বা সংবাদ সংস্থা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ক্ষমতা) ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করে বলা হয়েছে, ১২ ও ১২(ক) ধারায় প্রদত্ত আদেশ অমান্য বা পালন করা হয়নি মনে করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থা বা সম্পাদক বা সাংবাদিককে কাউন্সিল যুক্তিসংগত জরিমানা করতে পারবে। এই জরিমানা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা হবে। এ ছাড়া (২) ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কাউন্সিল যুক্তিযুক্ত মনে করলে জরিমানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র বা সংস্থাকে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারবে।
তবে সুপারিশে বলা হয়েছে, সাময়িক বন্ধ রাখার আদেশ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা সংবাদপত্রের কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে এবং আগ্রহী সাংবাদিক বা সংবাদপত্রের কর্তৃপক্ষ বা তাদের প্রতিনিধিকে ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ দিতে হবে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, অনেক পত্রিকা অনেক সময় প্রেস কাউন্সিলের আদেশ মানে না। এই অবমাননার বিরুদ্ধে কিছু ক্ষমতা কমিশনের কাছে থাকা উচিত। কাউন্সিল ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখার একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। তিনি নিজে ৩০ দিন সংবাদপত্র বন্ধ রাখার পক্ষে নন। তিনি বলেন, সংবাদপত্র বন্ধ থাকলে সাংবাদিকেরা এত দিন কী করবেন?
এই ক্ষমতা প্রেস কাউন্সিলকে দেওয়ার পক্ষে নয় সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক ইউনিয়নের দুটি অংশ। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কাউন্সিলকে বড়জোর জরিমানা বা অন্য কোনো সাজার এখতিয়ার দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনো একটি কারণে বা কোনো সম্পাদক-সাংবাদিকের কারণে পুরো সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে তিনি নন। এতে বহু সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর বেকার হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের আরেক অংশের নেতা ও সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, পত্রিকা বন্ধের বিরুদ্ধে সাংবাদিকেরা আন্দোলন করে আইন পরিবর্তন করেছিলেন। এখন আবার সেই দিকে যাওয়া হচ্ছে। পত্রিকা বন্ধের কোনো আইন মেনে নেওয়া যায় না। অন্য যেকোনো সাজা হতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের দায় কে নেবে? সেটা কি আইনে বলা হয়েছে? সাংবাদিকেরা কেন বেকার হবেন?

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications