বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হয় এ বৈশাখী আয়োজন। অনুষ্ঠানে গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। শুধু শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ নয় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সীগাল পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলি পয়েন্ট ছাড়াও বিনোদন স্পট দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী, মহেশখালী ও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় ।
বিনোদন স্পট সাজানো হয় ভিন্ন রূপে। পর্যটন নগরীর চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস এবং রেস্তোরাগুলোকে বাহারি সাজে সাজানো হয়।
এদিকে, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন বিনোদন স্পটগুলোতে। রঙ বেরঙের পোশাক পরে বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে আসেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। ছোট বড় সকলের মাঝে যেন আনন্দেও উচ্ছ্বাস। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বেড়ে যায় আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মাতুয়ারা মানুষের সংখ্যা। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সৈকতের বালিয়াড়ি পরিণত হয় বৈশাখী মিলনমেলায়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব। আর এ উৎসবকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমরা বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছি। তবে এবছর আমরা বর্ষবিদায় উৎসব করিনি। শুধু বর্ষবরণ উৎসব করছি।
এদিকে, বৈশাখী আয়োজনকে ঘিরে পর্যটন নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি সৈকতে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা টিম। বিকেল ৫টার মধ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।