কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের রশিদনগরের পানিরছড়া এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে কক্সবাজার সরকারী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা কক্সবাজার সরকারী কলেজের অনার্স (ইংরেজি) বিভাগের শিক্ষার্থী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শ্যামলী ও পূরবী পরিবহের মুখোমুখি সংঘর্ষে এঘটনা ঘটে।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পূর্ব প্রস্তুতি মোতাবেক সোমবার বান্দরবানের উদ্দেশ্যে পিকনিকে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে বাসটি জোয়ারিয়ানালা পৌঁছলে বিপরীত দিকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস পিকনিক বাসটি ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে পিকনিক গাড়িটি ছিটকে যায়। এতে বিভাগের অধ্যাপক মিঠুন চক্রবর্তী ও আরো ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়। শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি। তাদেরকে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এদিকে এই খবর কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। তারা কলেজের অভিমুখে সড়কে গতিরোধ করে হানিফ পরিবহরেন তিনটি বাস আটক করেছে। গাড়িগুলো বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল জানান, খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে- শিক্ষকসহ অনার্স (ইংরেজি) বিভাগের শিক্ষার্থী পূরবী পরিবহন নামে একটি বাস নিয়ে বান্দরবান শিক্ষা ভ্রমনে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈদগাঁও পানিরছড়া এলাকায় পৌঁছলে কক্সবাজারমুখি শ্যামলী পরিবহন নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিক্ষা ভ্রমনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে পিকনিক বাসটি সড়কের পার্শ্বের গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় পিকনিক বাসে অবস্থানরত এক শিক্ষক ও ১৪ শিক্ষার্থী সহ ১৫ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসটি ধাক্কা দেয়ার পর পরই পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত আমাদের পিকনিক বাসটির তেমন ক্ষতি হয়নি। আহতদের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।’