পেকুয়ায় বেঁড়িবাধের বিলীন হওয়া অংশে চলছে সংস্কার কাজ। বেঁড়িবাধের ৬টি পয়েন্টে বিপুল অংশ ভাঙ্গন অবস্থায় আছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বিলিন হওয়া ওই অংশ দিয়ে সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বিপুল এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এলাকার জানমাল ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ বেড়িঁবাধের ভাঙ্গন কবলিত অংশ সংস্কারের উদ্যেগ নিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে শুরু হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিন ও পুর্ব অংশের বেড়িঁবাধ সংস্কার কাজ। গত তিন দিন আগে থেকে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপুর্ন সদর ইউনিয়নের বেড়িবাধের ৬টি পয়েন্টে এক যোগে সংস্কার বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলছে। জানা গেছে কোন সরকারি অর্থায়ন ছাড়া ওই সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫লাখ টাকা। বেড়িঁবাধ নির্মান খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে। এরমধ্যে নদী শাসন বেড়িঁবাধে শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট কাজে সর্বাধিক টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভাঙ্গন অংশে টেকসই বাধ নির্মানের জন্য এসব স্থানে মাটি কাটার পাশাপাশি করা হবে পাইলিং।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে সদর ইউনিয়নের পুর্ব মেহেরনামা থেকে ছিরাদিয়া পর্যন্ত ৬টি পয়েন্টে মারাত্মক ভাঙ্গন অংশ রয়েছে। ওই অংশ দিয়ে গত বর্ষা মৌসুমে মাতামুহুরী নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। ওই ভাঙ্গন অংশ সংস্কার না হওয়ায় এখনো খোলা অবস্থায় রয়েছে বেড়িঁবাধ। এসব অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য চলমান রয়েছে সংস্কার কাজ। এসব পয়েন্টের মধ্যে সৈকতপাড়া অংশে প্রায় এক চেইন বেড়িঁবাধ মাটি দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে।
নন্দীরপাড়ার দক্ষিন অংশে প্রায় সত্তর ফুট পাউবোর বেড়িঁবাধ ভেঙ্গে গভীর খাদে পরিনত হয়েছে। সেটিও সংস্কার চলছে। ছিরাদিয়া ৩টি পয়েন্টে পাউবোর বেড়িঁবাধ বিলিন হয়েছে। এসব বিলিন হওয়া অংশ সংস্কার কাজ চলছে। পুর্ব মেহেরনামা গুবিন্দপুর পয়েন্টে প্রায় এক চেইন বেড়িঁবাধ বিলিন হয়েছে। ওই অংশেও মাটি দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে প্রায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক বাস্তবায়ন কাজে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে পাইলিং কাজও অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। ২টি পয়েন্টে স্কেবেটর দিয়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ জানিয়েছেন বর্ষা এসেছে। কাজ না করলে আমার ইউনিয়নের প্রায় ৭০হাজার মানুষ পানিতে ডুবে থাকবে। সরকার কখন কাজ করবে সেদিকে থাকানো যাচ্ছেনা। তাই নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিবেচনা করে সম্পুর্ন নিজের অর্থায়ানে কাজ শুরু করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড় কর্তপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পেকুয়ার প্রশাসনকেও অবহিত করেছি। আমি সকলের সহযোগিতা চাই।