পেকুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগাম হাওয়া লেগেছে। আগামি ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। দোকানপাট, চায়ের ষ্টল, বাজার, অলিগলিতে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সরগরম চলছে। ইউপি নির্বাচন-২০১৬ সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ঘোষনা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবছরের মার্চ মাস থেকে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সাত ধাপে ওই নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। এর মধ্যে মার্চের প্রথম ধাপে কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রথম ধাপে পেকুয়ায় নির্বাচন হচ্ছেনা। তবে অন্য যেকোন ধাপে পেকুয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জনগনের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষকরে দলগত নির্বাচন হওয়ায় দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে লবিং ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রথমবার দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা সরাসরি ভোট যুদ্ধে অবর্তীন হতে যাচ্ছেন। ওই সুবাধে প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করবেন স্ব-স্ব ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রার্থীরা মনোনয়ন আদায় করতে নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্কও অভাবনীয় হঠাৎ বৃদ্ধি করেছে। পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনের সবচেয়ে বেশি আগাম হাওয়া লেগেছে উপজেলার টইটং ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ছয়জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতার জন্য নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হয়েছেন। অপরদিকে ওই ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী তিন জনের নাম শুনা যাচ্ছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান জেড.এম মোসলেম উদ্দিন মনোনয়ন দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে বলে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপর দু’সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা রমিজ উদ্দিন আহমদ, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ বাচ্চু। ক্ষমতাসীন দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য মাঠে নেমেছেন তারা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মো.শহিদুল্লাহ বিএ, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, প্যানেল চেয়ারম্যান সাবেক সভাপতি কবির আহমদ, ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান সভাপতি ছরওয়ার কামাল চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক মাষ্টার জামাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী। এদের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচনে টইটং থেকে শহিদুল্লাহ বিএ ও জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী জেড.এম মোসলেম উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন। কবির আহমদ এমইউপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ব্যানারে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। টইটংয়ে ছয়জন প্রার্থী আ’লীগের হলেও তারা ওই ইউনিয়নে হেভিওয়েট প্রার্থী। এলাকায় সবার পরিচিতি ও গ্রহন যোগ্যতা অত্যন্ত প্রকট। তবে অনেক প্রার্থী জানিয়েছেন দল যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করব। এখানে দল ও উন্নয়নের স্বার্থে আমরা একমত।