ফাইলছবি
এসএম.ছগির আহমদ আজগরী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এনিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ উৎসব বঞ্চিতের শংকায় পড়েছে মানূষ।
জানা যায়, মৌসূমী নিম্নচাপের প্রভাবে গতকয়েক দিন ধরে হালকা, ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘঠে। অন্যদিকে, সাগরে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির জের ধরে বেড়ে যাওয়া পানি নানা উপায়ে প্রবেশ করতে থাকে পেকুয়ার লোকালয়ে।
ফলে, নিম্নাঞ্চলে দেখা দেয় প্লাবন। এসময় জোয়ারে ডুবছে ভাটার কাদায় ভাসছে নিচু এলাকার পাড়া মহল্লাগুলো।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে, উপজেলার ৭ইউনিয়নের প্রায় সকল নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে ভাসতে দেখা যায়। এতে এসব এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার পরিবারের মানূষ শিকার হন চরম নানা ভোগান্তির।
এনিয়ে মানূষ এবারের ঈদ আনন্দ উদযাপন নিয়েও প্রকাশ করেছেন শংকা।
এদিকে মগনামা-চকরিয়া সড়কসহ প্রায় ৩০টি অভ্যন্তরীণ সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডুবে রয়েছে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, কবর স্থান, মন্দিরসহ বিভিন্ন হাট বাজার, রা¯তাঘাট, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য খামার ও চিংড়ি ঘেরসমূহ।
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মাতামুহুরী নদীর তীর সংলগ্ন বলীর পাড়া, বাঘগুজারা, সরকারীঘোনা, হরিণাফাড়ি, ছিরাদিয়া, জালিয়াখালী, মইয়্যাদিয়া, নন্দীরপাড়া, গোয়াখালীসহ সদর ইউনিয়ন পেকুয়ার সব এলাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদী, ভোলা খাল, উজাটিয়া খালসহ বিভিন্ন ছড়া ও খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুরো এলাকাসহ বারবাকিয়া, শীলখালী ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এসব গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যা দুর্গত ওইসব এলাকার লোকজন সাইক্লোন শেল্টারে এবং গৃহপালিত পশু উঁচু জায়গায় নিয়ে রেখেছে।
বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ মাতামুহুরী নদীর উজানের পেকুয়া সদর ইউনিয়নে।
এ এলাকার অধিকাংশ পরিবারের নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় সাইক্লোন শেল্টারে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশীদ খান জানান, ভারী বর্ষণ, বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন ও পাহাড়ি ঢলের কারনে পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। পুরো উপজেলা এখন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান আরো জানিয়েছেন, সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দশন যেকোন ধরনের দূর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন সজাগ ও সতর্ক মূলক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।