পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে ২১ ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মহান মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্থলে চাউলের বস্তা উত্তোলন করার অভিযোগে আবুল কালাম সাওদাগর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সে আরবশাহ বাজারের ব্যবসায়ী করম আলী সাওদাগরের ছেলে বলে জানা গেছে। রবিবার বিকালে পুলিশ তাকে আরবশাহ বাজারস্থ তার দোকান থেকে আটক করে। এ সময় পুলিশ ওই চাউলের বস্তাসহ বাঁশটিও উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহান জাতীয় পতাকা অর্ধনিম্মিত রাখার সরকারী ঘোষনা রয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার প্রত্যেকটি দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু শুধু মাত্র ব্যতিক্রম ছিল আটককৃত আবুল কালামের দোকানটি। এখানে বিশাল উচ্চতার একটি বাঁশ দিয়ে জাতীয় পতাকার মত করে চাউলের বস্তাটি টাঙ্গানো হয়। বিষয়টি সকালে স্থানীয়ভাবে রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজখান রাজুর গোছরে আসলে তিনি তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এটি নামিয়ে ফেলার নিষেধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করে বকাঝকা শুরু করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এটি নামিয়ে ফেলার জন্য বললেও তা কর্ণপাত করেনি। পরে দুপুরে ওই যুবলীগ নেতা রাজাখালীস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ তাৎক্ষনিক তাকেসহ ওই অবমাননাকারী চাউলের বস্তাটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আটককৃত আবুল কালামের পুরো পরিবার জামায়াতের রনাজনীতির সাথে জড়িত। তার ভাই আবু তৈয়ব রাজাখালী ইউনিয়ন জামায়াতে প্রচার সম্পাদক ও তার পিতাও জামায়াতের সদস্য। বিগত সময়ে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্টানে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামীলীগকে বস্তা ফাটার দেশ এবং লীগ বলে অশ্লিল ভাষায় গালি দিয়ে থাকে। এমনকি বিগত সময়ে কোন অনুষ্টানে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি। তিনি প্রভাবশালী ও টাকাওয়ালা হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। শেষ পর্যন্ত চোরের দশ দিন গিরস্তের একদিন কথাটি সত্য হল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতাদের তৎপরতায় পুলিশের হাতে আটক হল।