এখানে একটি নির্মম হত্যাকান্ড ঘটেছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ও শোকাহত। যাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি হচ্ছেন সাহাবউদ্দিন ফরায়েজী সাহেব। তিনি এ এলাকার খুবই জনপ্রিয় নেতা একজন মুক্তিযুদ্ধা আপদমস্তক সংগ্রামী নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ নেতার পরিবার যখন গণভবনে সাক্ষাত করেছেন তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তখন বলেছিলেন একটা সময়ে আমি যেন জনপ্রিয় এ নেতার বাড়িতে এসে খবর জিয়ারত করি। যার কারণে আমি তাদের বাড়িতে আসি। আমার শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বার বার তাগিদের কারণে আমার আসা। এসে দেখলাম তিনি এমন সৎ মানুষ নিজের বাড়িটা পর্যন্ত করে নাই। তিনি আন্দোলন সংগ্রামে এমনভাবে জড়িত ছিলেন তার পরিবারের দিকে খেয়াল পর্যন্ত রাখতে পারে নাই। আর ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত জনপ্রিয় নেতা আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন হত্যায় জড়িতরা কোন মতে পার পাবেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মামলাটি সম্পূর্কে সবসময় খোঁজ খবর রাখছেন এবং বর্তমানে গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি) এর মাধ্যমে তদন্ত কাজ চলছে। আমি তাদের বলেছি দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করতে। আশা করি প্রকৃত অপরাধীরা সনাক্ত হবে। অপরাধী যত বড়ই প্রভাবশালী হউক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী আলহাজ্ব ওবাইদুল কাদের এমপি ১৭ জানুয়ারী সকাল ১১টায় উপজেলার টইটংস্থ আকম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজীর বাড়িতে আকস্কিম এক সফরে উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের ওই আশ্বাসগুলো দেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে অনেক বেশি জনপ্রিয় বিগত ৪৫ বছরে তার মত সাহসী নেতা সফল রাজনৈতিক বিচক্ষন নেতা আর বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি। আর বিএনপি নেত্রী বাংলাদেশে একাধীকবার ক্ষমতায় ছিলেন। তাদের কোন সাফল্য উন্নয়ন ও অর্জন নেয়। আন্দোলনে তারা ব্যর্থ। নির্বাচন না করে তারা ভূলের চুরাবালিতে হাবুডুবু খেয়েছে। পরে তারা বুঝতে পেরে সিটি, পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং বলেছে ইউপি নির্বাচনেও অংশগ্রহন করবে। বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে আওয়ামীলীগ জড়িত নয়। তাদের আপর ঘরের শত্র“ কারনে দল ও জোট ভাঙ্গার জন্য যতেষ্ট। তাদের নেতারা নিজেরাই দল ভেঙ্গে চলে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের এ দল ভাঙ্গার কোন প্রয়োজন নাই। তাই আমি বলব তাদেরই এক যুগে দল থেকে পদত্যাগ করা। তাদের মতো একটা বড় দল আন্দোলনে ৫শ লোক পর্যন্ত জড়ো করতে পারেনা আর ৭/৮ বছরে বাংলাদেশে কোন জায়গায় বড় একটা মিছিল করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তাদের নেতাকর্মীরা চরম হতাশ।
এদিকে সকাল ১১টায় মন্ত্রী প্রথমে নিহত সাহাবউদ্দিন ফরায়েজীর খবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সদস্য স্ত্রী মেয়ে ও ছেলেদের সাথে বাড়িতে একান্ত আলোচনা করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।