পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া ও মাইজপাড়া গ্রামের ৭০ একর জমিতে বোরো চাষে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে স’ানীয় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, স’ানীয় প্রভাবশালীমহল ওই ৭০ একর জমির পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ করে দেয়ায় এ অবস’ার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া ও মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক নাছির উদ্দিন, নুরুল হোছাইন, কামাল, আনোয়ারসহ আরো কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, চলতি বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলে মৌলভী পাড়া ও মাইজপাড়া গ্রামের কৃষকদের নানাভাবে চাষাবাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একই গ্রামের মাস্টার নুরুল ইসলামের পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মহব্বত, আতা উল্লাহ আরফাত, আমান উল্লাহসহ একাধিক লোক।
কৃষকরা আরো জানান, তাদের দুই গ্রামে প্রায় ৭০ একর চাষাবাদের বোরো জমি রয়েছে। এসব জমিতে পার্শ্ববর্তী ভোলা খালের মিঠাপানিতে সেচ পাম্প বসিয়ে ড্রেনের মাধ্যমে সেচ দেয়া হয়। এদিকে বোরো মৌসুমের শুরুতে সেচ পাম্প বসাতে দিচ্ছে না ওই আহসান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। তারা প্রতিনিয়িতই কৃষকদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, আহসান উল্লাহ গং গত রোববার দুপুরে পেকুয়া থানা থেকে পুলিশ নিয়ে কৃষকদের সেচ পাম্প মেশিন বসাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রভাবশালীরা মৌলভী পাড়া (চরপাড়া) গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে একটি অবৈধ ঝুপড়ি ঘর তৈরি করেছে।
স’ানীয়রা জানায়, ওই ঝুপড়িতে প্রতিনিয়তই মাদকের কেনাবেচাসহ অসামাজিক নানা কার্যকলাপ চলছে। প্রতি বছর মৌলভী পাড়া ও মাইজপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি স’ানে ভোলা খালের তীরে সেচ পাম্প বসিয়ে মিঠা পানি উত্তোলন করে কৃষকেরা ওই দুই গ্রামের ৭০ একর জমির বোরো চাষাবাদ করে সোনার ফসল ঘরে তুলত। এখন সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই গ্রামের শত শত কৃষক। স’ানীয় কৃষকরা অবিলম্বে ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস’া গ্রহণের জন্য স’ানীয় প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
ইউপি সদস্য এম মাহবুল করিম জানান, আমি তাদেরকে বলেছি। আগামীকাল আমি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে উভয়পক্ষের সাথে বসব। কোনো অবস’াতে বোরো চাষে অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হোক, এটা কখনো করতে দেয়া যাবে না।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জানান, পুলিশ কাজে বাধা দেয়নি। এক একর খাস জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ।