পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নে স্থানীয় মরহুম এশাদ আলী সরকার ওয়াকফ এষ্টেটের অর্থায়নে চলতি বোরো মৌসুমে ২২একরেরও বেশি জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করেছেন এষ্টেটের ওয়াকফ প্রশাসন মনোনীত মোতায়াল্লী পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান। প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার্থে স্টেইটের আওতাধীন প্রায় ২২একরেরও অধিক ধানী জমিতে নানা কারণে চাষাবাদ সংকট ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। খবর পেয়ে সংকট সমস্যাটির দ্রুত অবসানে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা ব্যায় অর্থায়নের একটি প্রকল্প গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সমাজ সেবক লিয়াকত আলীকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করে টইটং ইউনিয়নের কাচারী ঘোনা, সোনা গাজী পাড়া ও শের আলী মাষ্টার পাড়া এলাকায় এষ্টেটের অধিনস্থ্য প্রায় ২২একরেরও বেশি ধানী জমির চাষাবাদ সুবিধা নিশ্চিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান সংষ্কার কাজ ইতোমধ্যে যথা সময়ে শুরু ও শেষ করেন। এছাড়া সেখানে মিঠা পানি সংরক্ষণে আবাদ অনিশ্চিত বিস্তির্ণ ধানী জমি পাশ্ববর্তী খালে দু’টি বাধ নির্মানের কাজও সম্পন্ন করা হয়।
সোমবার সরোজমিন পরদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো উপজেলার সাথে পাল্লা দিয়ে স্থানীয় কৃষকরা অনিশ্চিত সংকটাপন্ন জমিতে চলিত বোরো মৌসুমের চাষের জন্য বীজতলা তৈরীসহ আগাম চাষ সম্পন্ন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেক, বাদশা মিয়া, ছৈয়দ নুর ও মোঃ ছাদেক সহ আরো অনেকে জানান, বুরো চাষের জন্য সংকটাপন্ন বিস্তির্ণ এ জমির সংস্কার ও খালের উপর বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন করা না হলে এষ্টেটের অধীন জমিতেও চলতি বোরো মৌসুমের চাষাবাদ অনিশ্চত থাকতো। সেই সাথে আগামীতে টইটংয়ের মরহুম এরশাদ আলী সরকার ওয়াকফ এস্টেটের বিস্তির্ণ ধানী জমিও অনাবাদীতে পরিণত হতো। একই সাথে চরম ভোগান্তির শিকার হতো এলাকার শত শত হত-দরিদ্র জনগোষ্টির প্রান্তিক চাষীরা। আর এতে বোরো চাষ নিশ্চিত করতে নিরীহ চাষী ও জমি মালিকদের মোটা অংকের অর্থের অপচয় গচ্ছার মুখোমুখী পড়তে হতো। এধরনের একটি মহৎ উদ্যোগ হাতে নেওয়ায় ওয়াকফ প্রশাসনের মনোনীত এষ্টেটের মোতোয়াল্লী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান ইউএনও মহোদয়কে সকলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাধুবাদ জানান চাষী ও এলাকাবাসী।