পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের এক মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্টান মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়। অতিহ্যবাহি এ স্কুলটির মাঠ ভরাটে ২০১৪/১৫ অর্থ বছরে মাননীয় এমপি মহোদয়ের বিশেষ বরাদ্ধ থেকে প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় ৮ মে:টন চাউল বরাদ্ধ দেয়। ওই প্রকল্পে পিসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৪নং ওয়ার্ডের এমইউপি জাকের উল্লাহ, সদস্য সচিব করা হয়েছে উক্ত প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক আকতার আহমদকে। আর ওই শিক্ষা প্রতিষ্টানটির মাঠ ভরাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূনীর্তির অভিযোগ ওঠেছে। ৮ মে:টন চাউল এর সমমূল্য পরিমাণ ১লাখ ৪৪হাজার টাকা থেকে মাত্র ৮গাড়ি মাটি যার মূল্য ৫হাজার ৬শত টাকার মাটি দিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ শেষ করেছে। বিষয়টি প্রকল্প কর্মকর্তার বরাবর স্থানীয়রা অবগত করলেও অদৃশ্য কারণে তিনি রয়েছে নিরব।
জানা গেছে, ৮ মে:টন চাউল এর টাকা দিয়ে মাঠ ভরাট ও সৌর প্যানেল বসানোর প্রকল্প দেওয়া হয়। পূর্ব থেকেই উপজেলা পরিষদ এর বরাদ্ধ থেকে একটি সৌর প্যানেল স্কুলে দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুল প্রধান শিক্ষক আকতার আহমদ, সহকারী শিক্ষক আবদু ছাত্তার ও পিসি জাকের উল্লাহ বিষয়টি গোপন করে প্রকল্প কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের পায়তারা শুরু করেছে।
সরোজমিন স্কুল গিয়ে প্রধান শিক্ষক আকতার আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাননীয় এমপি মহোদয়ের বরাদ্ধ থেকে ৮ মে:টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে মাঠ ভরাট ও সৌর প্যানেল বসানোর জন্য। ৮ গাড়ি নয় আমরা ৩২ গাড়ি ( যার মূল্য ২২হাজার ৪শত) মাঠ ভরাটে মাটি দেওয়া হয়েছে। সৌর প্যানেল পূর্ব থেকেই থাকায় ওই প্রকল্প থেকে বসানো হয়নি বলে স্বীকার করে আরো জানান, ওই টাকা দিয়ে আমরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের বসানোর জন্য টেবিল তৈরি করব।
পিসি জাকের উল্লাহ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে বসে অনিয়মের বিষয়টি ঠিক করবে বলে জানান।
প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) সুব্রত দাশ বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে জানান, ভাই আমি এখন ঢাকায় আছি। কাজে অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমি গিয়েই বিষয়টি দেখব।