কক্সবাজার পৌরভবনে বিভিন্ন কক্ষে ও দেওয়ালে দেখা দিয়েছে অনেক লম্বা আকৃতির ভয়াবহ ফাটল।পৌরবাসির অভিযোগ টিকাদারের নিম্নমানের কাজ ও অবহেলার কারনে পৌর-ভবনে দিন দিন ফাটলের আকৃতি ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। ভবনের নিচতলা, মিলনায়তন কক্ষ ছাড়া সবকটি কক্ষে বড় বড় আকারের ফাটলের কবলে পৌরভবন। কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই ভবন নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ভবনের আজ করুন অবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলার স্বাস্থ্য শাখা,টয়লেটের সামনে২০৪ নং কক্ষ, হিসাাব শাখা২০৯ নং কক্ষের ভিতরে, উপ- সহকারী প্রকোশলী মোঃহাবিবুর রহমানের ২১০ নং কক্ষে, ২০৭ নং কক্ষে এবং ২০৮ নং কক্ষ সহ আরো বিভিন্ন স্থানে খন্ড খন্ড ঝুকিপূর্ণ ফাটলে পৌর-ভবনন
ফলে কর্মকর্তা কর্মচারী সহ পৌরসভায় বিভিন্ন কাজে আগত জনমনের চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। চরম আতঙ্কের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। এব্যাপারে পৌর-কতৃপক্ষ কে অবগত করলেও তা নাগালের বাইরে রাখেন তারা। অনেকেই অভিযোগ করেন, পৌরসভা তা দেখে না দেখার ভান করে আছেন। চোখ বন্ধ করে ঘুমের অভিনয় করছেন কতৃপক্ষ। শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকার ছৈয়দ আলম জানান, আমি আমার ছেলের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটেরর জন্য এসে এত বড় আকৃতির ফাটল দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এর পর থেকে আমার ভিতরে একটা ভয়ের আতঙ্কে কাজ করতে শুরু করে। তিনি আরো বলেন, যে কোন সময় পৌর ভবনের কক্ষের দেওয়াল রানা প্লাজার মত ধ্বসে পড়তে পারে। হতে পারে বড় এক দূর্ঘটনার সৃষ্টি।
এক সূত্রে জানা যায়, পৌর- ভবন নির্মাণের আগে জায়গাটি নিচু এলাকা,পুকুর নর্দমা ছিল। আর জমি সংক্রান্ত কাচা জটিলতার কারনে অতর্কিত অবস্থায় মাটি ভরাট করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। রুপ দেয়া হয় কক্সবাজার পৌরসভায়।
ছৈয়দ আলমের মতো আরো অনেকেই একই মন্তব্য করেন। দুষারোপ করেন পৌরসভার মেয়রকে।
গোপন সূত্রে জানা গেল, ফাটল দেখা না যায় মত তার উপরে দেয়া হয়েছিল চুনের আবরন। তারপরেও কোন বাধা না মেনে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়ে যায় ফাটলের আকৃতি।
এব্যাপারে পৌরসভার সার্ভেয়ার ইন্জিনিয়ার মান্নানুল ইসলাম জানান, এগুলো আসলে তেমন কোন ঝুকিপূর্ণ না। দেওয়ালের নিচে মাটি সরে যাওয়াতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
পৌরসভার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান মাবু বলেন, পৌরভবনের সংস্কার কাজের বাজেট হয়েছে। অতি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।