একদিকে জোয়ারের পানি অপরদিকে পৌরসভার আর্বজনা ও পাহাড়ের মাটি দিয়ে ভরাট করেছে বাঁকখালী নদী। প্রকাশ্যে চলছে কক্সবাজার শহরের প্রাণ বাকঁখালী নদীতে দখলবাজদের তান্ডব লীলা। দিনের বেলায় বাকঁখালী নদীতে আবর্জনা ফেলছে, রাতের বেলায় পাহাড়ের মাঠি এনে ফেলা হচ্ছে আবর্জনার উপর। এতে খুব শীঘ্রই বাকঁখালী নদী নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আবর্জনা ও পাহাড়ের মাঠি দিয়ে প্রকাশ্যে ভরাট করা হচ্ছে বাকঁখালী নদী। বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সকলের নাকের ডগায় ভরাট ও দখলবাজি চললেও সংশ্লিষ্ট সকলের নিরবতা বিস্মিত করেছে সকলকে।
এ ছাড়াও বাকঁখালী নদীতে আবর্জনা ফেলার উপর আদালতের নিষেদাজ্ঞা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ।
পেশকার পাড়ার মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন যেভাবে প্রকাশ্যে দখল পক্রিয়া চলছে এতে আমরা উদ্বিগ্ন। নদী ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘর। জোয়ারের পানি ও আবর্জনা এখন মুখামোখী। অনেকেই এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। এরপরও দখলবাজরা নির্বিঘেœ তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলায় কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন থাকলেও এদের নিরবতা হতাশ করেছে সকলকে। জোয়ার আসলে আবর্জনা ও পাহাড়ের মাঠির সাথে জোয়ারের পানির ধাক্কা ধাক্কি দেখে অনেকেই চোখের জল ফেলছেন।
যেভাবে ভরাট পক্রিয়া চলছে এতে অচিরেই বিশাল এলাকা দখল হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে শহরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, দখলবাজদের কাছে কক্সবাজারবাসি অসহায়।
এ ছাড়াও আইন প্রয়োগকারি সংস্থার লোকজনও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার তারা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে, রাতের আধাঁরে পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।
জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তর থাকলেও তারা দেখে অনেকটা না দেখার ভান করে আছে। কোন সচেতন লোক পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারা এই অভিযোগকে পুঁজি করে অভিযুক্তদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পেশকার পাড়ার এক ব্যক্তির নেতৃত্বেই চলছে মাটি ভরাট ও দখল প্রক্রিয়া। ওই এলাকা ছাড়াও বাকঁখালী নদীর আরো ১৫টি পয়েন্টে চলছে দখলবাজি।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসেম জানিয়েছেন বাকঁখালী দখলের মাধ্যমে যে অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে এতে এই বর্ষা মৌসুমেই ভুগতে হবে শহরবাসিকে।
কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। পানি নিস্কাসনের জন্য কোন পথই থাকবে না। এ ছাড়াও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর হওয়া সত্বে যদি এ অবস্থা হয় তাহলে করার কিছুই নেই। যারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে তাদের রহস্য জনক ভুমিকা সবাই হতবাক হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সকল সচেতন মহলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাদের দখলবাজিও আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।