প্রতি শতক জমির মূল্য ১টি ইলিশের দামেরও সমান নয় ঃ প্রতিবাদে প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬
৪৮৫
বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার মহেশখালীতে হোয়ানক কালামারছড়া এলাকায় প্রস্তাবাধীন ৯০০০ মেঘাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ঠ এলাকার ভূমির মৌজা রেইট বৃদ্বির দাবী জানিয়ে সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে স্বারক লিপি দিয়েছে স্থানীয় এলাকা বাসী। ৩১ ডিসেম্বর দুপুর ২ টায় প্রতি মন্ত্রীর হাতে এ স্বারক লিপি দেওয়া হয় স্থানীয় এক হোটেলে। এ সময় মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভুমি মালিকরা দাবী করেন মহেশখালীর হোয়ানক, কালারমার ছড়া, ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত অমাবশ্যাখালী, হেতালিয়া, হোয়ানক, পানির ছড়া. হরিয়ারছড়া, কালামারছড়া মৌজা প্রায় ৬ হাজার একর জমি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কিন্তু বর্তমান জমির মুল্য প্রশাসন কতৃক শতক প্রতি ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় প্রাক্কলন করা হয়েছে বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন প্রশাসন কর্তৃক প্রাক্কলিত প্রতি শতক জমির মুল্য একটি ইলিশ মাছের দামেরও সমান নয়। তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এলাকার মানুষ বিনা বাধায় উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে জমি দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। তবে প্রশাসন কর্তৃক প্রাক্কলিত মুল্য ন্যায্য না হওয়ায় সবাই হতাশা ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসী দাবী করেন পার্শ্ববর্তি মাতারবাড়ী ২য় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শতক প্রতি ২৭ হাজার টাকা বাজার মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে। তাই মুল ভুখন্ড হিসেবে প্রস্তাবিত এলাকার সকল শ্রেণীর জমির মূল্য শতক প্রতি সর্বনিন্ম ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা। প্রস্তাবিত অধিগ্রহন কৃত এলাকায় অবকাঠামো, বেড়িবাধ, ঘর, দন্ডায়মান ফসলের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতি পুরনের ব্যবস্থা করা। ভুমির উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠিকে পূনর্বাসনের জন্য ঘুর্নিঝড় সহনীয় বহুতল ভবন নির্মান, প্রকল্পের লভ্যাংশের মালিকানার একটি অংশ এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্ব করা। একই সাথে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া এলাকাকে অগ্রসর করতে এলাকায় সরকারি স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল স্থাপন করা। এসময় বিদ্যুৎ প্রতি মন্ত্রী এলাকার মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং প্রশাসন কতৃক প্রাক্কলিত প্রতি শতক জমির মুল্য ৩ হাজার টাকা শুনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং স্থানিয় সংসদ সদস্যকে এ বিষয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। এ সময় ভুমি মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, জাফর আলম জফুর, ফেরদৌস কামাল, নুরুল আলম, মাস্টার আজিজুল হক, মোসলেম উদ্দিন, মাস্টার জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম এবং অন্যন্য প্রতিনিধিবৃন্দ।