1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারি - Daily Cox's Bazar News
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারি

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
  • ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
rohinga-new-dcঅনুপ্রবেশের পর বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিকের সংখ্যা কত, এর কোনো সঠিক হিসাব নেই। রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নিন্দিষ্ট করতে প্রথমবারের মতো শুমারি করতে যাচ্ছে সরকার। ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারি ২০১৬’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।রোববার বিবিএস অডিটোরিয়ামে শুমারির চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরুর অংশ হিসেবে প্রকল্পের জোনাল অপারেশন কার্যক্রমের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফামেতা।পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম সফিকুল ইসলাম, এম এ মান্নান হাওলাদার, ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক মো বাইতুল আমীন ভুঁইয়া প্রমুখ।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শুমারির আওতায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী- এ ছয় জেলায় থাকা রোহিঙ্গাদের গণনা করা হবে।এ সময় জানানো হয়, কক্সবাজারের দুটি শিবিরে বর্তমানে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এর বাইরে অনিবন্ধিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।২০১৫ সালের মে মাসে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা কমিশন। এরপর ২৫ জুন একনেক সভায় প্রকল্পটি অবহিত করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সচিব কানিজ ফামেতা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠপর্যায়ে রোহিঙ্গা গণনা শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পে কোনো বরাদ্দ না থাকায় তা যথাসময়ে শুরু করা যায়নি। এবার সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে জরিপ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সরকারি অর্থায়নে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।তিনি জানান, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ছবি ও সাধারণ তথ্যসংবলিত একটি তথ্যসম্ভার প্রণয়ন। তাদের বর্তমান অবস্থান এবং বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আগে মিয়ানমারে মূল বাসস্থানের ঠিকানা প্রণয়ন। এ ছাড়া অনুপ্রবেশের অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করা এবং রোহিঙ্গাদের আর্থসামাজিক ও জনমিতি-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন।প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, এ শুমারিতে শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণনা করা হবে না, তাদের ছবিও তুলে রাখা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারা মিয়ানমারের কোন অঞ্চল থেকে এ দেশে এসেছে, কেন এসেছে, বাংলাদেশে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয় কীভাবে, পরিবারের সদস্য কত এসব তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।জরিপের গণনা পদ্ধতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রথমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং ওই এলাকায় কার্যরত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সহায়তায় রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হবে। পরে ওই তালিকাকে ভিত্তি ধরে মাঠপর্যায়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের গণনা করা হবে।
জানা গেছে, প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সঠিক কোনো হিসাব না থাকলেও মিয়ানমারের ৩ থেকে ৫ লাখ নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্তে কড়াকড়ি সত্বেও প্রতিদিন গড়ে আট থেকে দশজন মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গা দেশের বনভূমি ধ্বংস করে বাসস্থান গড়ে তুলে পরিবেশের ক্ষতি করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া স্থানীয় শ্রমবাজার ও উপকূলীয় সমুদ্রবেষ্টনী প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তারা।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করা মিয়ানমারের এসব নাগরিক মানবেতর জীবনযাপন করে। তাদের মানবিক চাহিদা পূরণে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত অনুরোধ রয়েছে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে। তাই ২০১৪ সালে মন্ত্রিপরিষদে ‘মিয়ানমার নাগরিক-সম্পর্কিত জাতীয় কৌশলপত্র’ অনুমোদন দেওয়া হয়।পরে কৌশলপত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের সভায় মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্যভা-ার প্রণয়নের জন্য বিবিএসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার জরিপ কাজ শুরু হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications