প্রথম পর্যায়ে জেলার ১৯ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় নির্বাচন
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
৩৪৫
বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার রিপোর্ট :
ইউপি নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় ৩টি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। আগামি সপ্তাহের যেকোন কার্যদিবসে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেন জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন। অপরদিকে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা হওয়ার কারণে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানালেন বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে মহেশখালীর কালারমারছড়া, হোয়ানক, মাতারবাড়ি, বড়মহেশখালী, কুতুবজুম, ছোট মহেশখালী ও ধলঘাট ইউনিয়ন। কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, উত্তর ধুরং, কৈয়ারবিল, দক্ষিণ ধুরং, বড়ঘোপ ও লেমশীখালী ইউনিয়ন। টেকনাফ পৌরসভা এবং উপজেলার টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন। এ ছাড়া রয়েছে চকরিয়া পৌরসভা।
গত ৩১ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন দেশের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে কক্সবাজার জেলার সর্বোচ্চ ভোটার মহেশখালীর কালারমারছড়ায় ৩১ হাজার ৯৫৬ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটার সংখ্যা মহেশখালীর হোয়ানকে ৩০ হাজার ১৩৫ জন। সর্বনি¤œ ভোটার টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ২ হাজার ২শ জন।
হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছাড়া এলাকার সুষেণ শীল জানান, আমাদের পার্শবর্তি ধলঘাট ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা মাত্র ৮ হাজার। যা অন্য ইউনিয়নের এ চতুর্থাংশ। আমরা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি সমান। আমাদের একটি ওয়ার্ডেও ভোট রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। যার ফলে সরকার প্রদত্ত নাগরিক সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এর শাহীন শাহ জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার সর্বোচ্চ ভোট এই ইউনিয়নে ২৬ হাজার ১০৬ ভোট। আমাদের একটি ওয়ার্ডে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। অপরদিকে পাশ্ববর্তী সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২শ ।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্রতিবন্দ্বী শাকের উল্লাহ জানিয়েছেন, লোক সংখ্যা বেশী হওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে আছে। মোট জনসংখ্যার ১ ভাগ সরকার প্রদত্ত নাগরিক সুবিধা পায় না। এটি আমাদের অধিকার হলেও তা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
মহেশখালীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফলাতুন সিকদার জানান, মহেশখালীর কয়েকটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে নতুন ইউনিয়ন গঠন করার প্রস্তাব বার বার গ্রহন করা হলেও কেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না তা আমাদের জানা নেই। আমরা চাই জনগণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, ভোটার কম বেশী এটি প্রশাসনিক বিষয়।