কক্সবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাব ও বনপা’র উদ্যোগে গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারী ২০১৬ প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পিকনিকের আয়োজন করা হয় । এর উপর ভিত্তি করে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মধ্যে ‘ভ্রমণ কাহিনী’ প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয় । অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাছাই করে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)র সৌজন্যে ১ম পুরস্কার ২০০০ টাকা , ২য় পুরস্কার -১৫০০ টাকা ও ৩য় পুরস্কার – ১০০০ টাকা দেয়া হবে। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজ ১ম কিস্তির ভ্রমণ কাহিনীাটি প্রকাশ করা হল । পাঠক প্রিয়তা যাচাইয়ে ফেসবুকে শেয়ার ও কমেন্টকে বিবেচনা করা হবে। তবে প্রেসক্লাব ও বনপা কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। – কক্সবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাব ও বনপা কক্সবাজার ।
শাহেদ ইমরান মিজান :
ইট-কংক্রিটের যান্ত্রিক শহর আর কঠিন ব্যস্ততার চাপে জীবন যখন হাঁপিয়ে উঠে তখন আর পারাই যায় না। স্বয়ং বিজ্ঞানও এটা বলে। তাই জীবনের শ্লথ গতিকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে প্রয়োজন একটু বিশ্রাম। সে বিশ্রাম যদিও হোক ক্ষণিকের। তবুও তা একঘেয়েমির যান্ত্রিক জীবনে নিয়ে আসে একটু প্রশান্তি আর স্বাচ্ছন্দের বারতা। হ্যাঁ! এই বারতার খোঁজে ইট-কংক্রিটের যান্ত্রিক শহর ছেড়ে ক্ষণিকের জন্য দূরান্তে উড়াল দিয়েছিল কক্সবাজারের একদল অনলাইন সাংবাদিক। কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ অনলাইন নিউজপোর্টাল এসোসিয়েশনের (বনপা) যৌথ উদ্যোগে গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারি রচিত হয়ে গেলো ‘প্রবালদ্বীপে একদিন’ নামের এই ‘ভ্রমণকাব্য’।
বেড়ানোর ক্ষেত্রে কক্সবাজারের অনলাইন সাংবাদিকদের সৌখিনতার একটা গল্প ছড়িয়ে আছে। যান্ত্রিকতাকে ছুটি দিতে বেড়ানোর প্রয়োজন। তাই বলে মাসে মাসে! এমনটিই হয়েছে। সোনাদিয়া ভ্রমণের একমাস পেরোতেই ফের ভ্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে বসলেন কক্সবাজারের অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুরা। বনপার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কক্সবাজার নিউজ সম্পাদক আকতার চৌধুরী, কক্সবাজার অনলাইন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আনছার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ এবং বনপার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কক্সবাজার টাইমস্ সম্পাদক ও প্রকাশক মো: সরওয়ার আলম একাট্টা হলেই এমন কিছু ঘটে যায়। সে ধারায় তারা ঘোষণা দিলেন ‘এবার যাচ্ছি সেন্টমার্টিনে’। বেশ কয়েকদিনের দফায় দফায় প্রস্তুতি বৈঠক শেষে ২২ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে আমরা উঠে পড়লাম টেকনাফের বাসে। আকতার চৌধুরীর নেতৃত্বে কক্সবাজার টাইমস্ অফিস হোটেল আল-হেরা চত্বর থেকে ‘প্রবাল দ্বীপে একদিন’ ব্যানারে রওয়ানা হলাম। পথে পথে যোগ আরো বেশ কয়েকজন। যাত্রাটা ঠিক সময়ে হয়েছিল বলে সময়ের আগেই পৌঁছে গেলাম টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে। যেখান থেকে ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ। সেখানে প্রাত: কার্য ও ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা উঠে পড়লাম ‘কেয়ারী সিন্দাবাদ’-এ। প্রথমেই বলে রাখি আমাদের পুরো ভ্রমণ জুড়ে ছিল আনন্দ আর আনন্দ। এই আনন্দযাত্রা শুরু হয়ে যায় জাহাজেই। ছুটন্ত জাহাজে একাকার হয়ে গেলো আমাদের সারথীরা। শুরু হয়ে গেল আনন্দ উদযাপন। ঢোল নেই, তবলা নেই। শুরু হয়ে গেলো গান। এ যেন ‘ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার’! তবে জাহাজের টেবিল আর হাত হয়ে উঠেছিল ঢোল, তবলা। গানের জন্য সুদূর গাজিপুর থেকে এসেছিলেন শিল্পী গোলাম মোস্তফা। তিনি শুরু করেছিলেন বটে। এরপর কিন্তু অনেকে বনে গেলেন শিল্পী! বিশেষ করে আকতার চৌধুরী, আবদুল্লাহ নয়ন, সুমন বাংলাদেশীসহ আরো কয়েকজনে ধরে নেন গান। আমাদের গুরু আকতার চৌধুরী যে একজন নীরব শিল্পী প্রতিভা তা সেখানেই পরিচয় পেলোম। ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল’ সাধের লাউ, সিরাজের হেডমাস্টারসহ বাদ যায়নি কোন জনপ্রিয় গান। শিল্পীদের সাথে সবাই মিলিয়ে নিলেন ঠোঁট। সব মিলে পুরো জাহাজ হয়ে উঠেছিল এক সাংস্কৃতিক মঞ্চ। জাহাজের ৫’শ মতো যাত্রীর ‘মধ্যমনি’ হয়ে উঠেছিলাম আমরা। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মধ্যে উপভোগ করছিল আমাদের গান। এই আনন্দযজ্ঞের ভিডিও নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে ফেসবুকে। যাই হোক, দীর্ঘ তিনঘণ্টার জার্নি শেষে সাড়ে ১২টার দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম স্বপ্নের সেন্টমার্টিনে। সেখানে অবতরণ করে সবার সেকি উল্লাস! জাহাজ থেকে নেমেই সোজা চলে গেলাম হোটেল ময়নামতিতে। জুমার নামাজের পর লাঞ্চ সেরে নেমে পড়লাম মুল আনন্দ উদ্যাপনে। সবাই দল বেঁধে নেমে পড়লাম নারিকেল জিঞ্জিরার সৈকতে। ধরা দিলো সেন্টমার্টিনের আসল সৌন্দর্য্য। পাথরঘেরা নয়নাভিরাম সৈকত। সৈকতের উতাল-পাতাল ঢেউয়ের অবিরত খেলা, তীরঘেঁষে অনাবিল সৌন্দর্য্যরে মূর্ত প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেল বীথি, তার আলিঙ্গনে ছুঁয়ে থাকা খেয়াবন। কোনটা রেখে কোনটির সৌন্দর্য্য উপভোগ করি তাতে খৈ হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা। মনে শিহরণ ধরিয়ে দেয়া সৌন্দর্য্যরে বুকে নেমে পড়লাম আমরা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী মোতাবেক প্রথমেই করে ফেললাম গ্রুপ ফটোসেশন। এরপর ছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। বনপা ও কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নামে দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে নেমে পড়লাম ফুটবল খেলায়। বরাবরই ‘মাঝি’ আকতার চৌধুরী। তার সুন্দর পরিচালনায় শেষ হলো খেলা। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ১-১ গোলে দু’দলই জয়ী! তাই সবার মাতামাতি ছিল তুঙ্গে। খেলার পরে শুরু হয় মনের মতো ফটোসেশন। সবাই নানা ভঙ্গিতে ইচ্ছে মতন তুললেন নানা কিসিমের ছবি। এরপর রুমে ফিরে সবাই ফ্রেশ হলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যাকাশে নেমে এসেছে রূপরাঙা চাঁদ। ধরিত্রীতে আসমান ফাইডা নেমেছে জোছনা ঢল। জোছনায় একাকার হলো স্বপ্নের দ্বীপ। জোছনা আলোয় একখন্ড অপরূপ নিসর্গ হয়ে ফুটে উঠলো সেন্টমার্টিন। রাতের সেন্টমার্টিন অন্যরকম ভাবে ধরা পড়লো আমাদের চোখে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা নেমে এসেছে মূল রাস্তায়। আধোছায়ার অঁজপাড়া গাঁ’য়ের মেঠোপথ ধরে হাঁটছে অচেনা মানুষগুলো। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। নিশ্চিত কোন মুগ্ধকর গল্প বা উপন্যাসের সেরা দৃশ্যপটকে হার মানিয়ে দেবে। অঘোর রাত নেমে আসতেই আমরা যে যার মতো ঘুরে ফিরতে শুরু করলাম রুমে। ১১টার মধ্যে সবাই ফিরে বসে গেছি খাওয়ার টেবিলে। খাওয়া-দাওয়া শেষে খবর হয়ে গেলো ‘জমবে গান রাতে’। পরিকল্পনা থাকলেও এরই মধ্যে হোটেলের মালিক আমাদের সহকর্মী ছিদ্দিক ভাই কেমন করে জোগাড় করে ফেললেন স্থানীয় গানের দল। বলতে বলতেই হাজির ওস্তাদ আলমের একটি গানের দল। শুরু হলো গান নিয়ে আনন্দযজ্ঞ। প্রতি রুমে রুমে ঢুঁ মেরে ইসলাম মাহমুদ ভাই ঘোষণা দিলেন গান উপভোগ করা বাধ্যমূলক করা হয়েছে। তাই কেউ রুমে থাকতে পারবে না। এই আদেশ পেয়ে সকলে নেমে এলো ময়নামতির আমগাছতলায়। শুরু হলো গান। আকতার চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা, সুমন বাংলাদেশীসহ স্থানীয় গানের দল একে একে গেয়ে চলছে জনপ্রিয় সব গান। গানের তালে তালে নাচ হচ্ছে। নেচেছেন আকতার চৌধুরী, ছৈয়দ আলমসহ আরো অনেকে। সব মিলে জমে গেছে এক মহা আসর। স্থানীয় অনেক লোকও চলে এসেছেন। ১টার দিকে শেষ হলো গানের আসর। এবার কুইজ প্রতিযোগিতার ড্র’য়ের পালা। একে একে উঠানো হয় টিকেট। পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছেন ভাগ্যবানরা। সব থেকে বেশি ভাগ্যবান নির্বাচিত হয়েছে টেকনাফের জসিম মাহমুদ। তাই তিনি পেলেন প্রথম পুরস্কার মোবাইল ফোনসেট। ঘটা করে পুরস্কার বিতরণ করা হলো। সাথে ফটোসেশন। তাতে কম জমেনি। এবার ঘুমানোর পালা। এর আগে আকতার চৌধুরী ঘোষণা দিলেন কাল ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়া হবে তাই সকাল ৮টার মধ্যে তৈরি হতে হবে। ঘোষণা মতে, পরদিন সবাই সকাল ৮টার মধ্যে তৈরি। অনেকে আবার একটু দেরি করেছেন।
সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন অঙ্গাংশ ছেঁড়াদ্বীপ যেতে জেটিতে যেতে হবে। যথামতো আমরা জেটি পৌঁছে গেলাম। নেয়া হলো একটি ডেনিশ বোট। তবে এরই মধ্যে খবর এলো অনেকে আগে বিচ্ছিন্নভাবে ছেঁড়াদ্বীপে পৌঁছে গেছে। তাই আমরা ২৫ জনে উঠে পড়লাম ডেনিশ বোটে। বোটে এমরান ফারুক অনিক বলে উঠলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে ছেঁড়াদ্বীপে যাবো। কিন্তু নেতৃবৃন্দের বেখেয়াল বশত সকলের আর কোন অভিব্যক্তি পাওয়া গেলো না। তাই দ্বীপের উত্তর দিকে হয়ে রওয়ানা দিলো বোট। কিন্তু অল্প কিছুদূর যেতেই দেখা গেলো ঢেউ। বোট চলছে ঢেউয়ের মাত্রাও বাড়ছে। এরই মধ্যে বিশাল বিশাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে টলমল করছে আমাদের বহনকারী বোটটি। এতে করে অনেকে ভয় পেয়ে যায়। যতই সামনে যাচ্ছি ঢেউয়ের দাপট ততই বাড়ছে। এক সময় খুব ভয়ংকর ঢেউয়ে বোটটি মনে হয় ডুবে যাবে- এই রকম অবস্থা। সবাই দোয়া-দরুদ পড়া শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে ছৈয়দ আলম কোস্টগার্ডকে ফোন দিয়ে দিয়েছেন। তবে অনেককে ভয় না পেতে দেখেছি। মাঝি শক্ত থাকায় তাই বলা হচ্ছে। মাঝি বোটটি আরো গভীর সাগরের দিকে চালিয়ে দিয়েছেন। যারা ভয় পাচ্ছে তাদের নিয়ে টেনশন করছে আকতার চৌধুরী- তা বুঝা যাচ্ছে। অস্থির দেখা যাচ্ছে তাঁকে। প্রায় ১৫ মিনিট মিনিট ভয়ংকর অবস্থা কাটিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে আমাদের বোটটি। ‘এবার সবার পরানে পানি এসেছে।’ মাঝি জানালেন তীরের কাছে হওয়ায় ঢেউ ছিল। তাই মাঝ সাগরের চলে এসেছেন। অনেক সময় পেরিয়ে অবশেষে ছেঁড়াদ্বীপে পৌঁছলাম আমরা। পৌঁছেই পেলাম পুরো মাত্রা স্বস্তি। আকতার স্যার এবার জানালেন তাঁর অস্থিরতার যা ঘটনার সাথে একদম অমিল। আসলে তিনি মনে করেছিলেন, আমাদেরকে মালয়েশিয়াগামী বোটে নিয়ে যাচ্ছি কিনা বোটওয়ালারা!
ছেঁড়াদ্বীপে উঠে সবার চক্ষু চড়কগাছ! এত সুন্দর হতে পারে আল্লাহ সৃষ্টি? সবার অবলোকনে এমনটি মনে হয়েছে। বড় বড় নানা ভঙ্গিমার পাথর দ্বীপটি না দেখলে অনুমান করা যাবে না এর সৌন্দর্য্য। প্রায় আধা ঘণ্টা ছেঁড়াদ্বীপ ঘুরে সবাই ফিরলাম বোটে। এবার বোটটি যাবে সহজ পথে, তাই আর কারও মুখে আতঙ্ক দেখা গেলো না। ৪০ মিনিটের পথ পেরিয়ে দুপুর ১টার দিকে বোট পৌঁছে গেলো জেটিতে। নেমে আমরা চলে গেলাম রুমে। তবে সময় সংক্ষিপ্ত। ধরতে ফিরতি জাহাজ। ফের কক্সবাজার। তাই সবাই তাড়াহুড়ো করে বসে গেলাম খেতে। এটি সেন্টমার্টিনের শেষ খাওয়া এবং আমাদের ভ্রমণের খাওয়া মেন্যুর সেরা আইটেম। খুব জম্পেশ হলো। ওহ, বলতে ভুলে গেছি ময়নামতির হোটেল বাবুর্চির রান্নার কথা। মাশাল্লাহ, অতুলনীয়। সবাই একবাক্যে এই কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। খাওয়ার সারতে তিনটের কাছাকাছি হলো। তাড়া আছে। তাই সবাই গুছিয়ে নিলো তল্পিতল্পা। উদ্দেশ্য সোজা জাহাজ। নির্দিষ্ট সময়ে জাহাজে উঠে গেলাম। ১০ মিনিটের মধ্যেই জাহাজ চলা শুরু করলো। তখনই খেয়াল হলো ‘মন করে কেমন কেমন’। বার বার মনে তাড়া করছে সেন্টামার্টিন। আহা, ফেলে যাচ্ছি সেন্টমার্টিন! মনের কোণে জেগে উঠলো এক টুকরো বিরহ- যেন প্রিয়া হারানো।
জাহাজ চলছে। ছোট হচ্ছে সেন্টমার্টিন। যাচ্ছে দৃষ্টির আড়ালে। মনে হয় মনটা ভেঙে খান খান হচ্ছে। এমন মায়া কিভাবে ভুলি। এক সময় দৃষ্টির আড়াল হলো স্বপ্নের সেন্টমার্টিন। ফিরে যাচ্ছি আপনালয়ে; ইট-পাথরের যান্ত্রিক নগরে। ফেলে এসেছি সেন্টমার্টিন নিয়ে এসেছি এক টুকরো মধুর স্মৃত্যি।