উখিয়ার বালুখালীর গহিন অরণ্য থেকে উদ্ধার করা কঙ্কালের পরিচয় মিলছে। কঙ্কালটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পশ্চিম পাড়ার মৃত গোরা মিয়ার ১ম স্ত্রীর ছেলে আলমগীর ভুলুর। তার পুর্ব পেশা গাড়ির শ্রমিক হলেও গত কয়েক মাস ধরে ইয়াবা বহন কাজে জড়িয়ে পড়েন।
ভুলুর স্ত্রী রোজিনা আকতার জানান, ধারবাহিকতায় গত দুই মাস আগে অভিনব কৌশলে ইয়াবা খেয়ে একটি চালান নিয়ে ঢাকা গিয়ে ব্যাথা অনুভব করে ফিরে আসে। ইয়াবা গুলো পেটে বহন করায় তা বের করা সম্ভব না হওয়ায় ইয়াবার মালিকের বরাবর শরনাপন্ন হন। ইয়াবা গুলো বের করে নিতে জোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভিটা বাড়ী বিক্রি করে চিকিৎসকের নিকট নেওয়ার কথা ছিল। এভাবে প্রায় ১ সপ্তাহ পর এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বিচার হলেও প্রকৃত ইয়াবার মালিকের সাথে বসে কোন সুরাহা পায়নি। নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় ভিটা জমি বিক্রির টাকা নেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে কোন সন্ধান পায়নি। ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জানুয়ারী বালুখালী জুমের ছড়া নামক গহীন অরণ্য থেকে উখিয়া থানা পুলিশ কাঠুরিয়া সুত্রে খবর পেয়ে বিকৃত একটি কংকল উদ্ধার করা হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া লাশের তাৎক্ষণিক কোন পরিচয় পাননি বলে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বেদানকারী উখিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জায়েদ নুর নাজমুল জানিয়েছেন।
উদ্ধারের ১৫ দিন পর ভুলুর পরিবার কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুলুর ব্যবহৃত কাপড় চোপড় উদ্ধার করেন। উদ্ধারকালে ভুলুর বড় ছেলের একটি ছবি, মোবাইল বুক ও কিছু লিখিত পত্র পেয়েছেন বলে ভুলুর স্ত্রী জানান। ভুলুর মাতা মাহমুদা মারা যাওয়ার পর বাবা গোরা মিয়া ২য় বিয়ে করেন। সংসারে বর্তমানে সৎ মাতা, স্ত্রী, ২ সন্তান ও বোনদের নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করছিল। ভুলুর প্রকৃত হত্যাকারী কারা তা এখনো রহস্যাবৃত।
তবে নিহত ভুলুর স্ত্রী রোজিনা আকতারের দাবী তার স্বামীকে ইয়াবার মালিক জনৈক আকবর আহমদের ইন্দনে এ হত্যা হতে পারে। কিন্তু আকবর আহমদের পিতার নাম জানাতে পারেনি।
উখিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান উদ্ধার হওয়া কংকালের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছ।