উখিয়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ শাহিন হত্যার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী। নিহত পরিবারের সদস্যগণ অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে খুনিদের যোগসূত্র রয়েছে। এ কারণে গ্রেফতার হচ্ছেনা। ঘটনার পর থেকে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মিছিল সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি উখিয়ার সর্বত্রে খুনিদের পোষ্টার সয়লাব হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেলে উখিয়া উপজেলা তাঁতীলীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী খুনিদের সাথে আতাঁত করেছে। এ কারণে গ্রেফতার করছেন না। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তার সহপাঠীরাও। শিঘ্রই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধের হুমকিও দেন।
নিহত শাহিনের চাচাত ভাই ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বশির আহাম্মদ আজাদ বলেন, খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখে পড়েনা।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিথুন বলেন, অচিরেই খুনিদের ধরে এনে শায়েস্তা করা হবে। শাহিন হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাবনা।
উখিয়া উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় উখিয়া অচল করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী কাজী জাফর আলম ভুলু বলেন, স্থানীয় দুর্বত্তরা শাহিন হত্যাকারীদের পোষ্টার গুলো ছিড়ে ফেলছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শাহিনের মাতা শাহেদা বেগম বলেন, এখনো পর্যন্ত আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমি আল্লাহর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উখিয়ার সালাম মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম এর ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ শাহিন আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে শাহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মোহাম্মদ শাহিনের মা শাহেদা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটক করে। বাকীদের এখনো ধরতে পারছেনা।
উখিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।