মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উখিয়ার দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় রতœাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চাকবৈঠা গ্রামের করইবনিয়া এলাকায় জঙ্গি অর্থায়নে প্রতিষ্টিত রহস্যময় মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় গ্রামবাসির পক্ষে জমির মালিক হাজী আজিজুল হক প্রকাশ আজু ফকির তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন বিতর্কিত বহিরাগত মাদ্রাসায় ৪শিক্ষককে থানায় নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলা মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা চাকবৈঠা,করইবনিয়া গ্রামের মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী ওমর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দিন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠির কাজ থেকে অর্থ নিয়ে এ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছে। যাহার চলাচলা, ধ্যাণ ধারণা শরীয়ত মোতাবেক না হওয়ায় স্থানীয় গ্রামবাসির মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সরকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল আব্দুল মালেক মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিতর্কিত মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনায় নিয়োজিত বহিরাগত ৪ শিক্ষক যথাক্রমে মাদ্রাসা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষক ছৈয়দ আলম এবং স্থানীয় ফরিদ আলমকে থানায় নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল মালেক মিয়া জানান, মাদ্রাসাটি অর্থ যোগানদাতা, কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কে কে এ মাদ্রাসায় সম্পৃক্ত এবং মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে যাছাই করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈনুদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হারুল ইসলাম মিয়া, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামীম ভূইয়া, একটি বাড়ী একটি খামার উপজেলা সমন্বয়কারী আব্দুল করিম। এদের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে একটি রিপোর্ট দাখিল করার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল আব্দুল মালেক মিয়া রাজাপালং এমইউ ফাযিল (ডিগ্রী) ভাইস পিন্সিপাল খাইরুল বাশারকে প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।