কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজারে এক হোটেল কক্ষে হতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক সচিব দেলোয়ার হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ধারণা, পারিবারের সাথে অভিমানজনিত করণে আত্মহত্যা করেছে সাবেক এই সচিব।
আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পরিবার থেকেও কিছু জানানো হয়নি। ৮ পৃষ্ঠার সু-সাইড নোটে লেখা ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দুদকের এই সাবেক সচিব গত ২৯ ফেব্রয়ারি কক্সবাজারের সি-হ্যাভেন গেস্টহোমের একটি কক্ষে গলায় গামছা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার তার একমাত্র ছেলে কক্সবাজারে এসে পিতার কবর জিয়ারত এবং আত্মহত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি পিতার কবর কক্সবাজারেই রাখার কথা জানিয়েছেন।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় দুদকের আলোচিত সচিব দেলোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা এই আমলা ওয়ান-ইলেভেনের সময় ৫০ জন আমলা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীকে সন্দেভাজন দুর্নীতিবাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও তা প্রকাশ করে আলোচিত হন। তার আরো দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
চিরকুটে তিনি নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কিছু ক্ষোভের কথা লিখে গেছেন। : তিনি লিখেছেন, এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। আজ না হয় কাল মরতেই হবে। চিরকুটে সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে নারী প্রসঙ্গ নিয়ে। লিখেছেন, নারীর প্রতি সবারই মোহ থাকে। নারীর কারণে অনেক বিখ্যাত লোককেও কারাগারে যেতে হয়েছে। এ কারণেই আমেরিকার ২১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন গভর্নরকেও বিদায় নিতে হয়েছে। এমনকি বিল ক্লিনটনের মতো প্রেসিডেন্টকেও বিদায় নিতে হয়েছে নারীর কারণেই। এসব কারণেই পরিবারের সঙ্গে নারীঘটিত মান-অভিমানের কোনো বিষয় রয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এ কারণে তিনি পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
এসব কারণেই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রাথমিক ধারণা- পারিবারের সাথে নারীঘটিত মান-অভিমানজনিত কোনো বিষয় রয়েছে। এই কারণে তিনি পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছিলেন হয়তোবা। কেননা তিনি আত্মহত্যার আগে আরো বহুবার কক্সবাজারে কাটিয়ে গেছেন।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় দুদকের সেই সচিব দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। তার এ মৃত্যু নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।