কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজার সাগরপাড়ের তারকামানের হোটেল কক্স টু-ডের ছয়তলা থেকে ফেলে (স্বামী পরিত্যক্ততা) বিউটিশিয়ান সোনিয়াকে হত্যার অভিযোগে আটক কথিত প্রেমিকসহ তিনজনকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে সোনিয়ার মৃত দেহ পিতার কাছে হস্তান্তর করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গত রোববার বিকালে হোটেলের দ্বিতীয় তলার এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের (আউট কমপ্রেসার) থেকে পুলিশ ওই বিউটিশিয়ান মৃত দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, খবরের ভিত্তিতে গত রোববার বিকালে সাগরপাড়ের তারকামানের হোটেল কক্স টু-ডের দ্বিতীয় তলার এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের (আউট কমপ্রেসার) থেকে বিউটিশিয়ান সোনিয়ার মৃত দেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। নিহত সোনিয়া আকতার বরগুনা সদরের মোঃ আলমগীর মাতব্বরের মেয়ে। পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। এঘটনায় আটক করা হয় ওই নারী দুই বয়ফ্রেন্ড ঢাকা ওয়ারীর রেংকিং স্ট্রিটের ব্যবসায়ি পরিতোষ রায়ের ছেলে সুদীপ রায় (৩০) ও রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকার ৮৬ পল্লবীর বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে ওমর ফারুক ও গুলশানের ২/৩ ছায়াবীথি এলাকার সানাউল আলমের ছেলে শামিউল আলমকে। এটি হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক (এসআই) আবদৃর রহিম ডেইলি কক্সবাজার.কমকে বলেন, সোনিয়া আকতার ও তার দুই বয়ফ্রেন্ড গত শনিবার সকালে সাগরপাড়ের হোটেল কক্স টুডে-তে রুম নেয়। রোববার বিকালে হোটেলের ছয়তলা থেকে পড়ে দ্বিতীয় তলার এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের (আউট কমপ্রেসার) সাথে আটকে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান,অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
হোটেল কক্স টুডের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার আবু তালেব কালের ডেইলি কক্সবাজার.কমকে জানান, গত শনিবার নিজেদের সুদীপ রায় ও সোনিয়া আক্তার নামে এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের ছয়তলার একটি কক্ষে ওঠেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরো দুই বন্ধু।
এসআই আবদুর রহিম আরো জানান, নিহত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওইদিনই জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে মৃতদেহ তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, পর্যটক নারী সোনিয়া নিহতের ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আটক দুই জনকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিহত সোনিয়ার পিতা মোঃ আলমগীর মাতব্বর ডেইলি কক্সবাজার.কমকে জানান, ঢাকা খিলক্ষেতের পার্শ্বে শেওড়া বাজার এলাকায় একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করতো বিউটিশিয়ান সোনিয়া। মেয়ে একটু জেদি ছিলো বলে গত তিন বছর আগের স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং তিন বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তার।
তিনি বলেন, পোষ্ট মর্ডেম রিপোর্ট আসার পরেই তার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হয়েই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিবো।