সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের মধ্যে ১৬০ জন আজ শনিবার ঝুঁকি নিয়ে তিনটি স্পিড বোট ও চারটি ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরে এসেছেন। তবে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে টেকনাফ ফিরতে অনীহা প্রকাশ করায় এখনো অন্তত ৪০ জনের মতো পর্যটক সেন্ট মার্টিনের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আজ সকাল নয়টার পর ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এর পরও সাগর একটু উত্তাল রয়েছে। সব ধরনের নৌযান চলাচলে এখন আর কোনো বাধা নেই।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে আবহাওয়ার সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে না যাওয়ায় পর্যটকদের দ্বীপে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পরও অনেক পর্যটক নিজেদের উদ্যোগে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে টেকনাফ ফিরেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ-ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। ফলে আগের দিন বেড়াতে গিয়ে সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করা পর্যটকেরা শুক্রবার বিকেলে আর টেকনাফ ফিরতে পারেননি।
সেন্ট মার্টিনে থেকে টেকনাফে ফেরা পর্যটক ঢাকার মহাখালীর বাসিন্দা মো. রফিকুল আলম ও সাদেকুল ইসলাম বলেন, সকালে জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে সংকেত কেটে গেলেও জাহাজ আজ সেন্ট মার্টিন যাচ্ছে না। তাই সকাল ১০টার পর থেকে চারটি ট্রলার ও তিনটি স্পিডবোটে করে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও ১৫৮ জন। তাঁরা বলেন, সেন্ট মার্টিনে অবস্থান করার মতো টাকা ছিল না। তা ছাড়া চাকরিতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা সমুদ্র পাড়ি দিয়েছেন।