টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে একটি অস্ত্রসহ পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা আটকের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত রোববার রাতে হোয়াইক্যং বিওপির নায়েক মো. মারজানুল ইসলাম বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই দিন ১১টার দিকে হোয়াইক্যং চেকপোস্ট এলাকায় (কক্সবাজার-থ-১১-১৮৩৪ নম্বর) অটোরিক্সা তল্লালি চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের কালুর দোকান এলাকার (খুরশেদ ভবন, ৫ম তলার) মৃত. মমতাজ আহমদ চৌধুরীর ছেলে মো. জুয়েল (২৬), দক্ষিণ টেকপাড়ার (বৈল্ল্যাপাড়ার, ওমেদাকুঞ্জ, ৩য় তলার) নাছির উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪), পাহাড়তলীর লাইট হাউজ এলাকার নেজাম উদ্দিনের ছেলে মনছুর আলী (২৫), পাহাড়তলীর ছৈয়দ কাশেমের ছেলে আবিদ কাশেম (২৫), উখিয়া থানার পালংখালীর আলী আহম্মদের ছেলে মো. লিয়াকত আলী (২০)। এদের মধ্যে মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মনসুর আলম সহ-সম্পাদক।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, বিজিবি সদস্যরা চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে একটি অটোরিক্সাকে সন্দেহ হলে তাদেরকে নামিয়ে তল্লালি চালানো হয়। এ সময় গাড়ির সিটের নিচে লুকায়িত অবস্থায় খালি খোঁসাসহ একটি নম্বর-১ জাপানি পিস্তল, দু‘টি চাকু, পাওয়ার ব্যাংক পাঁচটি মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ তাদেরকে আটক করে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, বিজিবি অস্ত্রসহ ৫ জনকে থানায় সোর্পদ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ১৮৭৮ সনের ১৯/এ আইনের অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ৪৪/১৩৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।