রামুর দুর্গম এলাকা গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকায় মুক্তিপণের জন্য অপহৃত দুই সহোদরকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ২০ জানুয়ারি বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ধৃতরা হল গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২২), মৃত মোঃ নবীর ছেলে ইমাম হোসেন ওরফে টুইল্যা (৩২), আমির হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, আব্দুল্লাহ, মোঃ ইউনুস, রুমান উদ্দিন ওরফে নোমান, লাইলা বেগম, রশিদা বেগম ও ফাতেমা খাতুন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, এই ঘটনার মূলহোতা প্রথমে দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আরো ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃত সবাই গর্জনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, রোববার বিকাল ৫টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের মোহাম্মদ ফোরকান ওরফে মিন্টুর দুই ছেলে বাড়ির পাশে খেলছিল। বাইশারী শাহ নুরুদ্দিন মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ইমাম হাসান ওরফে শাকিল (১০) ও তার ছোট ভাই বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ইমাম হোসেন ওরফে কাজল (৮) সন্ধ্যার পরও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে রাত ১১টার দিকে অপহরণকারিরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করলে দুই কিশোরের পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হন তাদের দুই ছেলে অপহরণের শিকার হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, অপহরণের পর থেকে একাধিকবার মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করে দুই কিশোরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিল অপহরণকারিরা। ওই হুমকিতে হাসান ও হোসেনের মা সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।