উখিয়ার চাঞ্চল্যকর আলমগীর ভুলু হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। স্ত্রীর পরকিয়া ও ইয়াবা ব্যবসার রেশ ধরে আলমগীর ভুলু কে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ এনে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই জিয়াবুল হক (২৬) বাদী হয়ে ১০ ফেব্র“য়ারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার বরাবর এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- সিআর ৪১/১৬ ইং। আদালত বাদীর জবানবন্দী এবং দায়েরকৃত অভিযোগ পর্যালোচনা করে মামলা হিসাবে রেকর্ড করে আগামী ৭ মার্চ/২০১৬ ইং তারিখের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য উখিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত মামলায় বালুখালী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বক্তার আহমদ প্রঃ ইয়াবা বক্তার, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রুজিনা আক্তার, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত নজির আহমদ চৌধুরীর ছেলে আবছার, মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিরাজুল কবির, মৃত আলী হোছনের ছেলে বালু ভুট্টো, ফরিদুল আলমের ছেলে আলমগীর প্রঃ নিশা, ছুর আলীর ছেলে রাশেল প্রঃ ডাকু রাশেল কে আসামী করা হয়।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, বালুখালী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বক্তার আহমদ প্রঃ ইয়াবা বক্তার বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল নবীর ছেলে আলমগীর ভুলু (৩৫) এবং তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার কে বাহক হিসাবে ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা ট্যবলেটের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান পাচার করার সুযোগে রুজিনা আক্তারের সাখে বক্তার পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ৩ নভেম্বর সকাল ১১ টায় উক্ত বক্তার এবং তার সহযোগীরা আলমগীর ভুলু (৩৫) কে তাদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে কনডমে মুড়াইয়া বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটে তার বায়ু পথে কৌশলে ঢুকাইয়া দিয়া নিদ্রিষ্ট ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার জন্য বলে। পরবর্তীতে ইয়াবা ট্যাবলেট মোড়ানো কনডম ফেটে গেলে আলমগীর ভুলু (৩৫) অসুস্থ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর উক্ত আলমগীর ভুলু (৩৫) কে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে আসামীরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়া হত্যা করে। জানা যায়, গত ১ জানুয়ারী উখিয়া থানা পুলিশ বালুখালীর জুমের ছড়ার জঙ্গল থেকে আলমগীর ভুলুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। এদিকে নিহত আলমগীর ভুলুর ছোট ভাই জিয়াবুল হক সাংবাদিকদের জানান, বক্তার আহমদ প্রঃ ইয়াবা বক্তার তার ভাবী রুজিনা আক্তারের সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে ইয়াবার চালান পাচার করতে গিয়া তার ভাইকে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, উক্ত বক্তার আহমদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ট্যবলেট ও মানব পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলা থাকলে ও সে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায়। অপর দিকে একই হত্যা কান্ডের ঘটনা নিয়ে ৮ ফেব্র“য়ারী নিহত আলমগীর ভুলুর স্ত্রী রুজিনা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। একটি হত্যাকান্ড নিয়ে পথক ২টি মামলার ঘটনা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন আলমগীর ভুলু হত্যা কান্ডের ঘটনা নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে নিহর লোকজনদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন।