চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী অপহরণের ঘটনায় আটক ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (০৬ ফেব্র“য়ারি) দুপুরে অপহরণকারী চক্রের ৬ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হলে ওই মামলার অন্যতম আসামী সানজিনা আক্তার সাথী (২৫) দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্র“য়ারি) সন্ধ্যায় অপহরণকারী চক্রের কবলে পড়েন কাউন্সিলর তারেক। রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠির মাথা এলাকায় অপহৃত হন মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী। তাকে দক্ষিণ মিঠাছড়ির জিনের ঘোনা এলাকায় আলী হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে বাড়িতে ফোনও দেওয়া হয়। সেখান থেকে অপহৃত কাউন্সিলরকে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল যোগে রওয়ানা দেন অপহরণকারী। পথিমধ্যে রামু-মরিচ্যা পুরাতন আরকান সড়কের শিকলঘাট এলাকায় পুলিশ দেখে চিৎকার দেন কাউন্সির তারেক। এসময় মোটর সাইকেলসহ উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী মোক্তার বাপের পাড়া এলাকার মৃত আব্দু শুক্কুরের ছেলে মাইমুনুল ওরফে মামুন মিস্ত্রী (২৬), পেকুয়া গোয়াখালি বটতলিয়া পাড়া এলাকার মৃত নুর ছোবহানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৭)কে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে অপহরণকারী চক্রের অন্য ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। এরা হলেন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী দশের ঘোনা এলাকার জাগির হোছনের মেয়ে সানজিনা আক্তার সাথী (২৫) এবং রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী জিনের ঘোনা এলাকার মৃত আলী মদনের ছেলে আলি হোসেন (৪২) ও তার স্ত্রী হোসনে আরা (৩৬) এবং সিরাজুল হকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮)।
কাউন্সিলর মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের ভাড়া করা সানজিনা আক্তার সাথী (২৫) তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রামু আসতে বলেন। রামু আসলে তাকে অপহরণকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের হাতে তুলে দেন এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সাথী। পরে কৌশলে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
তিনি বলেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. কায় কিসলুসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. কায় কিসলু জানান, এ ঘটনায় রামু থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে ঘটনার অন্যতম হোতা সানজিদা আক্তার সাথী। আটকদের বিরুদ্ধে রামু থানায় একাধিক ডাকাতি ও অপহরণ মামলা রয়েছে। অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।