পুলিশি হেফাজত থেকে আসামি পালানোর দায়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের চার সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি রাত ৩ টায় উখিয়ার মরিচ্যা বাজার এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরী কাটা বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ ডাকাত সর্দার বেলাল উদ্দিন প্রকাশ ডাকাত বেলালকে (৩২) আটক করে পুলিশ। সেইদিন রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। কিন্তু আটকের ৩দিন পর ৩১ জানুয়ারি রাতে পুলিশ পাহারা থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে য়ায় সেই ডাকাত। এ কারণে সেদিন ডিউটিতে থাকা ৪ জন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি মরিচ্যা পল্লীবিদ্যুৎ সাব-অফিসের সামনে পৌঁছলে ডাকাত বেলাল ও তার সহযোগীরা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরা লোকজনদের গাড়ীর গতিরোধ করে মালামাল ছিনিয়ো নেয়ার চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা ডাকাত সর্দার বেলাল উদ্দিন প্রকাশ ডাকাত বেলাল (৩২) কে অস্ত্র ও ৩টি তাজা কার্তুজ সহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ্দ করে। এই ঘটনায় রতœাপালং ৯নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্য নুরুল হক মনু বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। ওইদিন পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে পুলিশ পাহারারত অবস্থায় ৩১ জানুয়ারী দায়িত্বরত পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হাতকড়াঁ সহ পালিয়ে যায়। এনিয়ে পুরো মরিচ্যা এলাকায় বেলাল ডাকাতের আতংক ছড়িয়ে পড়ছে এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উখিয়া-টেকনাফ (সার্কেল) এএসপি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মিয়া জানান, হাসপাতালে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনের ৪ পুলিশ সদস্য। তাদের গাফলাতির কারণে আসামী পালাতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই দায়ভার তাদের নিতে হবে। এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় একজন নায়েক ও তিনজন সিপাহিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।