কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজার শহরে তারকা মানের হোটেল কক্স টুডে থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গত দু’দিনে কক্সবাজারে বিভিন্ন গুজ্ঞন উঠেছে। হোটেল কক্স টুডে কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায় থাকায় ও বিভিন্ন ধরণের অপ্রসঙ্গিক আচরণে নারী হত্যা ঘটনা অন্য দিকে রুপ নেয়।
এই ঘটনার পর শহরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, হোটেল কর্মচারিদের সাথে তুচ্ছ বিরোধের জের ধরে ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সত্যতা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
প্রাথমিক আলামতে মনে হচ্ছে সোনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের একাধিক চিহ্ন দেখা গেছে।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পর্যটক নারীর মৃত্যু রহস্যজনক। এ কারণে পুলিশ আটক করেছে ওই নারীর কথিত প্রেমিকসহ তিনজনকে।
গত রবিবার সন্ধ্যায় হোটেল কক্ষ থেকে সোনিয়া আক্তার (২৫) নামের এই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার আলমগীর মাতব্বরের মেয়ে।
কক্সবাজার সাগরপারের হোটেল কক্স টুডের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার আবু তালেব কালের ডেইলি কক্সবাজার.কমকে জানান, গত শনিবার নিজেদের সুদীপ রায় ও সোনিয়া আক্তার নামে এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের ছয়তলার একটি কক্ষে ওঠেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরো দুই বন্ধু।
ম্যানেজার আবু তালেব আরো জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোটেলের দোতলায় এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের সঙ্গে আটকে থাকা অবস্থায় সোনিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্র ডেইলি কক্সবাজার.কমকে জানান, ঘটনার পরপরই এই নারীর স্বামী পরিচয়ধারী ও তাঁদের অন্য দুই বন্ধুকে আটক করা হয়। সুদীপ হোটেলের নিবন্ধন খাতায় নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাজধানীর ওয়ারী এলাকার ১৭/১ র্যাংকিন স্ট্রিটের পরিতোষ রায়ের ছেলে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। আটক অন্য দুজন হলেন রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকার ৮৬ পল্লবীর বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে ওমর ফারুক ও গুলশানের ২/৩ ছায়াবীথি এলাকার সানাউল আলমের ছেলে শামিউল আলম।
তবে, ধৃতদের কাছ থেকে কোন প্রকার তথ্য পেয়েছেন কিনা, এ ব্যাপারে কিচিু যানায়নি পুলিশ।
সোমবার তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।