টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে প্রায় হাজার খানেক পর্যটক নিয়ে সাগরের ডুবোচরে আটকা পড়া কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও এলসিটি কুতুবদিয়া নামের দুটি জাহাজ চার ঘণ্টা পর নিরাপদে টেকনাফ ফিরেছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জাহাজ দুটি টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটের তীরে ভেড়ে।
আজ বেলা তিনটার দিকে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনা বদরমোকাম-সংলগ্ন এবং মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার ডুবোচরে জাহাজ দুটি আটকা পড়েছিল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে জাহাজ দুটি জোয়ারে ভেসে উঠলে আবার টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এরপর রাত আটটার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে ফেরত আসে।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, আজ সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, এলসিটি কুতুবদিয়া ও বে ক্রুজ প্রায় আড়াই হাজারের মতো পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে যায়। পরে বেলা তিনটার দিকে সেন্ট মার্টিন থেকে আবার টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এলসিটি কুতুবদিয়ার টেকনাফের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মো. আজিজ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জোয়ারের পানি কমে যাওয়ায় ডুবোচরে জাহাজ দুটি আটকা পড়েছিল।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ৩৪ কিলোমিটারের নৌপথে একাধিক ডুবোচর জেগে উঠেছে। এতে করে প্রতিবছর পর্যটন মৌসুম ও বর্ষা মৌসুমে যাত্রী পারাপার ও মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা পণ্যবাহী ট্রলার ডুবোচরে আটকা পড়ে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফে বিজিবির ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ বলেন, জাহাজ দুটি ডুবোচরে আটকা পড়ার খবরটি শোনার পর মিয়ানমার সীমান্তের বর্ডার গার্ড পুলিশকে (বিজিপি) অবহিত করা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবির দুটি বিশেষ দল টহলে ছিল। জোয়ারের পানিতে ভেসে ওঠার পর জাহাজ দুটিকে নিরাপদে টেকনাফের ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।